জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমিন্ড-৩২ নম্বর এলাকা কেন্দ্রিক ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনকালে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্ট শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
আগামী শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে হ্যান্ড মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি করে আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে বনানী কবরস্থানেও আর্চওয়ে, চেকপোস্ট থাকবে এবং সকলকে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তল্লাশি, ব্লক রেইড, চেকপোস্টের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবক দলও থাকবে।
অতিথিদের গমনাগমনের ক্ষেত্রে ভিভিআইপি, ভিআইপি, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ মানিক মিয়া এভিনিউ (ধানমন্ডি ২৭ নম্বর ক্রসিং), মিরপুর রোড (মেট্রো শপিং মল মোড়), ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এর পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ এবং একই পথে প্রস্থান করবেন।
বিভিন্ন দল, প্রতিষ্ঠান এবং সর্বসাধারণের একমূখী গমনাগমনের নিমিত্তে রাসেল স্কোয়ার হতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বের হবেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি -৩২ নম্বর ও বনানী কবরস্থান এলাকায় আগতদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখা হয়েছে। মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি ৩২ এর চতুর্দিকে মোটরসাইকেল পার্কিং নিষেধ।
ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান স্থল ও তার আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ভেন্যু কেন্দ্রিক অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষনিক সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে। পুষ্পস্তবক অর্পন করতে আসা জনসাধারণকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর কেন্দ্রিক মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে। আগত জনসাধারণের জন্য থাকবে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা।
ধানমন্ডি-৩২ ও বনানী কবরস্থান কেন্দ্রিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সেই সাথে ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে। ধানমন্ডি লেকে মোতায়েন থাকবে নৌ পুলিশের টহল। ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ কেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দুই ভেন্যুতেই থাকবে মেডিকেল টিম।
নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত হোটেল, গেষ্ট হাউজ বন্ধ থাকবে এবং মেসগুলোতে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার বিষয়ে অনলাইন অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন অপপ্রচার কঠোরভাবে নজরদারী করাসহ আইনের আওতায় আনা হবে।
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে করোনাকালীন সংক্রমন রুখতে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্মানিত নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।