Dhaka ১০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ৩১ Time View

থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শুক্রবার এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।”

“দীর্ঘদিন ধরে উইঘুরদের লক্ষ্য করে অত্যাচার, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সরকার। যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে— তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেসব দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনে এই উইঘুররা অব্যাহত নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও থাইল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে— এমন কোনো রেকর্ড নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটি নিরুৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ঠিক কতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তারা বলেছেন, শুধু কর্মকর্তারই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে এই উইঘুরদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা। ব্যাংকক যখন এই পরিকল্পনা করছিল, সে সময় এতে আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। দুই দেশের পক্ষ থেকে থাইল্যান্ডে এই উইঘুরদের পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা প্রদানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকক চীনকে অসন্তুষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চায়নি।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর পর প্রাথমিকভাবে অসন্তোষ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সেময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাংকক বলেছিল, আইন ও মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখেই এই উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিবৃতি প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ওয়াশিংটনে থাই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সূত্র : রয়টার্স

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত

Update Time : ০৪:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শুক্রবার এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।”

“দীর্ঘদিন ধরে উইঘুরদের লক্ষ্য করে অত্যাচার, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সরকার। যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে— তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেসব দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনে এই উইঘুররা অব্যাহত নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও থাইল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে— এমন কোনো রেকর্ড নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটি নিরুৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ঠিক কতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তারা বলেছেন, শুধু কর্মকর্তারই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে এই উইঘুরদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা। ব্যাংকক যখন এই পরিকল্পনা করছিল, সে সময় এতে আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। দুই দেশের পক্ষ থেকে থাইল্যান্ডে এই উইঘুরদের পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা প্রদানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকক চীনকে অসন্তুষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চায়নি।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর পর প্রাথমিকভাবে অসন্তোষ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সেময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাংকক বলেছিল, আইন ও মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখেই এই উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিবৃতি প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ওয়াশিংটনে থাই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সূত্র : রয়টার্স