Dhaka ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

অর্থ পাচার মামলায় তারেক ও মামুন খালাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ২৪ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে এই রায় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ এই রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আপিল করলে আপিল বিভাগ এই রায় দেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান জানান তারেক রহমানের আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।

আপিল বিভাগ ৪ মার্চ আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দুটি মামলা থেকে খালাস দেন এবং চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে তাকে খালাস দেন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৯ সালের অক্টোবরে ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালে বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন এবং বিচারিক আদালতের মামুনকে দেওয়া কারাদণ্ড ও জরিমানা বহাল রাখেন।

তারেক রহমান ২০০৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন এবং পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। তিনি ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং তারপর থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাব্বির হামজা চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান। তিনি আরও জানান, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তার মক্কেল মামুনকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেন।

মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান শুনানি করেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

অর্থ পাচার মামলায় তারেক ও মামুন খালাস

Update Time : ০৮:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে এই রায় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ এই রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আপিল করলে আপিল বিভাগ এই রায় দেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান জানান তারেক রহমানের আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।

আপিল বিভাগ ৪ মার্চ আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দুটি মামলা থেকে খালাস দেন এবং চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে তাকে খালাস দেন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৯ সালের অক্টোবরে ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালে বিচারিক আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন এবং বিচারিক আদালতের মামুনকে দেওয়া কারাদণ্ড ও জরিমানা বহাল রাখেন।

তারেক রহমান ২০০৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন এবং পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। তিনি ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং তারপর থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাব্বির হামজা চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান। তিনি আরও জানান, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তার মক্কেল মামুনকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেন।

মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান শুনানি করেন।