Dhaka ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
  • ৪৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

আজ (বুধবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন শেষে ২ হাজার ৭১৬টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৯৫১টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর কারিগরি ও মাদরাসা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়েছে ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এর আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির জন্য প্রাথমিক তালিকা করে এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটি। এই তালিকা শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। মন্ত্রীর অনুমোদনের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন শেষে এটি চূড়ান্ত হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে বলা হয়।

এদিকে বুধবার  দুপুরে  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মলনে শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি জানান, দীর্ঘ তিন বছর পর নতুন করে এমপিওভুক্ত হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাশের হার বিবেচনায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করা  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে, যারা বই হারিয়েছে তাদের নতুন করে বই দেয়া হবে। এরপর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে সময়টা এখনো ঠিক হয়নি।

তিনি আরো বলেন, পাঠ্য বই থেকে ধর্ম শিক্ষা তুলে দেয়া হয়নি বরং তা আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। ধর্মকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে একটা অংশ – শিক্ষামন্ত্রী।  নড়াইলের ঘটনা অচিন্তনীয়। সাম্প্রদায়িকতাকে উপজীব্য করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।  এখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়। মানুষ হিসেবেও মানুষের স্বাভাবিক বোধ কাজ করতে হবে। ধর্মীয় উন্মদনা তৈরি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা এটা পরিকল্পিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো

Update Time : ০১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

আজ (বুধবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন শেষে ২ হাজার ৭১৬টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৯৫১টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর কারিগরি ও মাদরাসা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়েছে ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এর আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির জন্য প্রাথমিক তালিকা করে এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটি। এই তালিকা শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। মন্ত্রীর অনুমোদনের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন শেষে এটি চূড়ান্ত হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে বলা হয়।

এদিকে বুধবার  দুপুরে  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মলনে শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি জানান, দীর্ঘ তিন বছর পর নতুন করে এমপিওভুক্ত হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৭১৬ বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাশের হার বিবেচনায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করা  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে, যারা বই হারিয়েছে তাদের নতুন করে বই দেয়া হবে। এরপর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে সময়টা এখনো ঠিক হয়নি।

তিনি আরো বলেন, পাঠ্য বই থেকে ধর্ম শিক্ষা তুলে দেয়া হয়নি বরং তা আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। ধর্মকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে একটা অংশ – শিক্ষামন্ত্রী।  নড়াইলের ঘটনা অচিন্তনীয়। সাম্প্রদায়িকতাকে উপজীব্য করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।  এখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়। মানুষ হিসেবেও মানুষের স্বাভাবিক বোধ কাজ করতে হবে। ধর্মীয় উন্মদনা তৈরি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা এটা পরিকল্পিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।