আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতা অর্জনের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে।

বর্তমানে দেশটিতে তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। দেশটিতে পেট্রোল ও ডিজেল না থাকায় জ্বালানি পাম্প স্টেশনগুলো বন্ধ করা হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে বিদ্যুৎ সংকট। ফলে এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সরকার ঘোষণা করেছে বুধবার থেকে রাজধানী কলম্বোসহ গোটা দেশে দিনে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

রাতের কলম্বোর এখন  ভরসা হারিকেনের আলো। তাছাড়া  বিদেশি মুদ্রা না থাকায় কাগজ এবং কালি আমদানি করতে পারছে না কলম্বো সরকার। ফলে দেশজুড়ে সর্বস্তরের সব পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকট হচ্ছে নগদ অর্থ সংকট। সব মিলিয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের জনজীবন।

শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে খাদ্য ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের জনজীবন। অবস্থা এতই খারাপের দিকে গেছে যে, বেশ কিছু শ্রীলঙ্কান অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাও করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বাড়ছে আমজনতার মধ্যেও। দেশটিতে খাবার এবং অত্যাবশকীয় জিনিসপত্র মজুদ করার প্রবণতা বাড়ায় তৈরি হয়েছে সঙ্কট। দোকান এবং পেট্রোল পাম্পগুলিতে পড়ছে দীর্ঘ লাইন। এতে ঘটে যাচ্ছে নানান  দুর্ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে পেট্রোল পাম্পগুলিতে নজরদারির জন্য সেনা নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন দেশেটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।

বর্তমানে বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। ফলে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ছাডা রাজাপাকসে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা অসম্ভব বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদেরা। এদিকে আর্থিক সংকটে নাজেহাল প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সাথে ২৫ কোটি ডলারের মুদ্রা বিনিময় করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে