নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ মঙ্গলবার (৮ই মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
প্রতি মুহূর্তে নানামুখী বৈষম্য, বঞ্চনা ও প্রতিবন্ধকতার সাথে লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছে এ দেশের নারী। তার এ লড়াই ঘরে বাইরে সব জায়গায়। বিশ্বায়নের যুগে টেকসই উন্নত আগামীর জন্য নারীর প্রস্তুতিতে এ লড়াই আরো কঠিন। আর তাই নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ হলেই সম্ভব সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠা- এমনটা মনে করেন কর্মক্ষেত্রে সফল নারীরা।
টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য- এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য। এই সমতার জন্যই সুদীর্ঘকাল ধরে নানা প্রতিবন্ধকতা ও বিপত্তি মোকাবেলা করে লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এদেশের নারী।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু পারিবারিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতনের হার বাড়তে থাকায় সামগ্রিক অর্জনে এখনও পিছিয়ে নারী। এমনটাই মনে করেন নারী নেত্রীরা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে গত ৫০ বছরের অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্বে রোল মডেল পরিচিতি এনে দিয়েছে। সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের পাশাপাশি নারীদের সচেতনতা এ অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। নারীর ক্ষমতায়নের পথকে আরো সুগম ও কার্যকর করতে সরকার নতুন কর্মপরিকল্পনা ও বিনিয়োগ করছে বলে জানালেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি জানান, বিশ্বায়নের পরিবর্তনগুলোকে বিবেচনায় এনে আগামী দিনের জন্য নারীকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
নারীর জন বৈষম্যহীন সমতার বিশ্ব গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।