Dhaka ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • ৩২ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ৫০ ওভারের সেই ম্যাচটি টাই হওয়ার পর টাই হয় সুপার ওভারেও। পরে ইনিংসে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে আইসিসি।

এবার আরেকটি বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেই হতাশার মধুর প্রতিশোধই নিল কিউয়িরা। সঙ্গে পৌঁছে গেল চলতি টি-টোয়েন্টি আসরের ফাইনালে।

আবুধাবিতে বুধবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলী।

এছাড়া ৪১ রান করেন ডেভিড মালান আর ২৯ রান আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকে। কিউয়িদের পক্ষে একটি করে উইকেট লাভ করেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জেমস নিশাম।

জয়ের জন্য ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে প্রথম ওভারেই মাত্র একটি চার হাঁকিয়ে ওকসের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই গাপ্টিলকে তুলে নেয়ার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ক্রিস ওকস ফিরিয়ে দেন কেন উইলিয়ামসনকে।

আদিল রশিদের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন কিউয়ি কাণ্ডারি। ১১ বল খেলে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। যাতে মাত্র ১৩ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। দুই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়েই দুটি উইকেট তুলে নেন ক্রিস ওকস।

এরপর ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ৬৬ বলে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথেই নিতে থাকেন ওপেনার ড্যারিল মিচেল। তবে এরপরই কনওয়ে ও ফিলিপ্সকে পরপর তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগামটা নিজেদের হাতেই ফিরিয়ে আনেন লিভংস্টোন। যদিও লাগামটা দ্রুতই ছিনিয়ে নেন ক্রিজে নতুন আসা জিমি নিশাম।

১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান নিয়ে রীতিমত হারের শঙ্কায় নিউজিল্যান্ড। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্রিস জর্ডনের করা ১৭তম ওভারে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৩ রান তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে খেলায় ফেরান জিমি নিশাম। তিনটি ছক্কা ও একটি চারে মাত্র ১১ বলে ২৭ করে জিমি ফিরলেও উত্তেজনাময় প্রথম সেমিতে শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা ড্যারিল মিচেল।

৪২ বলে ফিফটি হাঁকানো মিচেল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। তাঁর ৪৭ বলের এই ম্যাচ সেরা ইনিংসে ছিল চারটি ছয়ের সঙ্গে চারটি চারের মার। আর ৩৮ বলে ৪৬ করে দলের জয়ে অবদান রাখেন ডেভিড কনওয়ে। যাতে ৬ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।

ইংলিশদের পক্ষে দুটি করে উইকেট লাভ করেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন। আদিল রশিদ পান একটি উইকেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

Update Time : ০৬:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ৫০ ওভারের সেই ম্যাচটি টাই হওয়ার পর টাই হয় সুপার ওভারেও। পরে ইনিংসে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে আইসিসি।

এবার আরেকটি বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেই হতাশার মধুর প্রতিশোধই নিল কিউয়িরা। সঙ্গে পৌঁছে গেল চলতি টি-টোয়েন্টি আসরের ফাইনালে।

আবুধাবিতে বুধবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলী।

এছাড়া ৪১ রান করেন ডেভিড মালান আর ২৯ রান আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকে। কিউয়িদের পক্ষে একটি করে উইকেট লাভ করেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জেমস নিশাম।

জয়ের জন্য ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে প্রথম ওভারেই মাত্র একটি চার হাঁকিয়ে ওকসের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই গাপ্টিলকে তুলে নেয়ার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ক্রিস ওকস ফিরিয়ে দেন কেন উইলিয়ামসনকে।

আদিল রশিদের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন কিউয়ি কাণ্ডারি। ১১ বল খেলে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। যাতে মাত্র ১৩ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। দুই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়েই দুটি উইকেট তুলে নেন ক্রিস ওকস।

এরপর ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ৬৬ বলে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথেই নিতে থাকেন ওপেনার ড্যারিল মিচেল। তবে এরপরই কনওয়ে ও ফিলিপ্সকে পরপর তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগামটা নিজেদের হাতেই ফিরিয়ে আনেন লিভংস্টোন। যদিও লাগামটা দ্রুতই ছিনিয়ে নেন ক্রিজে নতুন আসা জিমি নিশাম।

১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান নিয়ে রীতিমত হারের শঙ্কায় নিউজিল্যান্ড। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্রিস জর্ডনের করা ১৭তম ওভারে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৩ রান তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে খেলায় ফেরান জিমি নিশাম। তিনটি ছক্কা ও একটি চারে মাত্র ১১ বলে ২৭ করে জিমি ফিরলেও উত্তেজনাময় প্রথম সেমিতে শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা ড্যারিল মিচেল।

৪২ বলে ফিফটি হাঁকানো মিচেল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। তাঁর ৪৭ বলের এই ম্যাচ সেরা ইনিংসে ছিল চারটি ছয়ের সঙ্গে চারটি চারের মার। আর ৩৮ বলে ৪৬ করে দলের জয়ে অবদান রাখেন ডেভিড কনওয়ে। যাতে ৬ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।

ইংলিশদের পক্ষে দুটি করে উইকেট লাভ করেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন। আদিল রশিদ পান একটি উইকেট।