Dhaka ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস!!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৬২ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

চলতি আইপিএলে অন্যতম সেরা ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। টানটান উত্তেজনা, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকল ম্যাচের ভাগ্য। জেতা ম্যাচও হেরে বসল পাঞ্জাব কিংস। আর হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস।

মুস্তাফিজ ও তিয়াগির শেষ দুই ওভারের ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ের সামনে আর ম্যাচ জিততে পারেনি পাঞ্জাব।

মঙ্গলবার রাতে শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের দরকার ৮ রান। সেখান থেকে ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। তাতেই মূলত ঘুরে যায় ম্যাচ, জাগে রাজস্থানের সম্ভাবনা। আর শেষ ওভারে দরকার ৪ রান, বল করতে গেলেন তরুণ পেসার আসেন কার্তিক। তখন ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান। নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করাম। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান, নিলেন ২ উইকেট।

কার্তিকের প্রথম দুই বলে মার্করাম নেন এক রান। তৃতীয় বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন পুরান। পরের বলে কোনো রান নিতে না পারা দিপক হুডা পঞ্চম বলে ক্যাচ দেন উইকেটকিপারকে। শেষ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান অ্যালেন। অবিশ্বাস্য জয়ের উল্লাসে মাতে রাজস্থান।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংস। পাঞ্জাবের জার্সিতে এদিন ৩ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। ঈশান পোড়েল, আদিল রাশিদ এবং এইডেন মার্করাম। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে রাজস্থান রয়্যালস। এভিন লুইস-যশস্বী জাসওয়াল ওপেনিং জুটিতে করেন ৫৪ রান। ২১ বলে ৩৬ করেন লুইস।

তবে ব্যর্থ হন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪ রানে তাকে আউট করেন ঈশান পোড়েল। ১৭ বলে ঝড়ো ২৫ রান করেন লিভিংস্টোন। ৪৯ রান করেন যশস্বী। মহিপাল লোমরোরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে বড় রান করে রাজস্থান রয়্যালস। ১৭ বলে ৪৩ করেন লোমরোর। ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে রাজস্থান রয়্যালস।

পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অর্শদীপ সিং। ৪ ওভারে ৩২ রানে একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। ৩ উইকেট নেন সামি।

১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন মায়াঙ্ক-রাহুল জুটি। রাহুল-মায়াঙ্ক ওপেনিং জুটিতে উঠল ১২০ রান। ৪৯ রান করেন লোকেশ রাহুল। তবে পাঞ্জাব অধিনায়কের বেশ কয়েকটা ক্যাচ ফেলেন রাজস্থানের ফিল্ডাররা। ৪৩ বলে ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস মায়াঙ্কের।

নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করামের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ৫৭ রান। কিন্তু ম্যাচের শেষ দুই ওভারে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও কার্তিক তিয়াগী দুর্দান্ত বোলিং করে রাজস্থান রয়্যালসকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন।

৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক ২০ বছর বয়সী পেসার কার্তিক। অন্যদিকে ২ উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজও। কিন্তু তার বলে ক্যাচ পড়েছে দুটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস!!

Update Time : ০৩:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

চলতি আইপিএলে অন্যতম সেরা ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। টানটান উত্তেজনা, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকল ম্যাচের ভাগ্য। জেতা ম্যাচও হেরে বসল পাঞ্জাব কিংস। আর হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস।

মুস্তাফিজ ও তিয়াগির শেষ দুই ওভারের ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ের সামনে আর ম্যাচ জিততে পারেনি পাঞ্জাব।

মঙ্গলবার রাতে শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের দরকার ৮ রান। সেখান থেকে ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। তাতেই মূলত ঘুরে যায় ম্যাচ, জাগে রাজস্থানের সম্ভাবনা। আর শেষ ওভারে দরকার ৪ রান, বল করতে গেলেন তরুণ পেসার আসেন কার্তিক। তখন ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান। নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করাম। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান, নিলেন ২ উইকেট।

কার্তিকের প্রথম দুই বলে মার্করাম নেন এক রান। তৃতীয় বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন পুরান। পরের বলে কোনো রান নিতে না পারা দিপক হুডা পঞ্চম বলে ক্যাচ দেন উইকেটকিপারকে। শেষ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান অ্যালেন। অবিশ্বাস্য জয়ের উল্লাসে মাতে রাজস্থান।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংস। পাঞ্জাবের জার্সিতে এদিন ৩ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। ঈশান পোড়েল, আদিল রাশিদ এবং এইডেন মার্করাম। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে রাজস্থান রয়্যালস। এভিন লুইস-যশস্বী জাসওয়াল ওপেনিং জুটিতে করেন ৫৪ রান। ২১ বলে ৩৬ করেন লুইস।

তবে ব্যর্থ হন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪ রানে তাকে আউট করেন ঈশান পোড়েল। ১৭ বলে ঝড়ো ২৫ রান করেন লিভিংস্টোন। ৪৯ রান করেন যশস্বী। মহিপাল লোমরোরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে বড় রান করে রাজস্থান রয়্যালস। ১৭ বলে ৪৩ করেন লোমরোর। ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে রাজস্থান রয়্যালস।

পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অর্শদীপ সিং। ৪ ওভারে ৩২ রানে একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। ৩ উইকেট নেন সামি।

১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন মায়াঙ্ক-রাহুল জুটি। রাহুল-মায়াঙ্ক ওপেনিং জুটিতে উঠল ১২০ রান। ৪৯ রান করেন লোকেশ রাহুল। তবে পাঞ্জাব অধিনায়কের বেশ কয়েকটা ক্যাচ ফেলেন রাজস্থানের ফিল্ডাররা। ৪৩ বলে ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস মায়াঙ্কের।

নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করামের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ৫৭ রান। কিন্তু ম্যাচের শেষ দুই ওভারে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও কার্তিক তিয়াগী দুর্দান্ত বোলিং করে রাজস্থান রয়্যালসকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন।

৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক ২০ বছর বয়সী পেসার কার্তিক। অন্যদিকে ২ উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজও। কিন্তু তার বলে ক্যাচ পড়েছে দুটি।