মহীতোষ গায়েন,মফস্বল সম্পাদক,পশ্চিমবঙ্গ:
ত্রিপুরায় তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে আমবাসাতে গাড়ি আটকিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ তৃনমূল নেতৃত্বের।
দু’টি লরি করে দুষ্কৃতীরা আধলা ইট,বাঁশ,লাঠি দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুব নেতা সুদীপ রাহা,তার মাথা ফেটেছে,তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে,মহিলা যুব নেত্রী জয় দত্তের কান, মুখ রক্তাক্ত।পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটলেও তারা ছিলেন নীরব দর্শক।
হামলার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা হয়,আজকের আবার হামলা, এই নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজনীতি সরগরম।
তৃণমূল কর্মী ও নেতৃত্বের উপর এই হামলার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি দল ত্রিপুরায় যাচ্ছে,এই প্রতিনিধি দলে আছেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক,শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু,তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ,তারা সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ, প্রশাসনের কাছে প্রতিবাদ স্মারকলিপি দেওয়া সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে বলেছেন- ত্রিপুরায় গুণ্ডারাজের রঙ দেখালো বিজেপি, তিনি এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে অভিহিত করেন।কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শাসক দল বিজেপি মতদপুষ্ট এই হামলা, এভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কখনও আটকানো যয়নি,এখনো যাবে না।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন এটি তৃণমূলের একটি পরিকল্পিত নাটক। ত্রিপুরায় কিছুই ঘটেনি,অশান্তি ছড়াতে ত্রিপুরায় গেছে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন WBCUPA ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে, WBCUPA-র রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু জানিয়েছেন ত্রিপুরায় বিজেপির এই হামলা গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে,রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে তারা যে আক্রমণ চালালো তা মধ্যযুগীয় বর্বরতারই নামান্তর।এর বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।