মোঃ আইনুল হক পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাজাকার আল-বদর, আল সামস পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা তালিকাভুক্তির প্রতিবাদ ও গেজেট বাতিলের দাবীতে।
তারা অবিলম্বে এই ২ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া না হলে অবিরাম আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো.ইব্রাহিম খান। তিনি বলেন স্বাধীনতার তীব্র বিরোধিতাকারী রাজাকার আল বদর, আল সামস সদস্য ডা.মুনির উদ্দিন চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধা ও তার মেয়ে সুফিয়া বেগম কে বীরাঙ্গনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ এরা ছিল খান সেনাদের ঘনিষ্ট সহচর। এদের বাড়ীতে বসেই খান সেনারা নিরস্ত্র এলাকাবাসীর উপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতো। সে সময়ে যুবতী সুফিয়া বেগম ছিল পাকিস্থানী কর্নেল জাহিদের সার্বক্ষনিক সঙ্গী। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র সমালোচনা ছিল। ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবসের রাতেই এই ডা.মুনির পরিবার নিয়ে শহরের বাড়ী ছেড়ে বীরহলী গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা ঐ বাড়ী ঘেরাও করে অন্যান্য রাজাকারদের সাথে ডা.মুনির ও তার মেয়ে সুফিয়া বেগমকে হত্যা করে এলাকা শত্রæমুক্ত করে।
সম্প্রতি এসব রাজাকারদের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার ৭৩ তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা কমিটিকে উপেক্ষা করে তালিকাভুক্ত করায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সম্মনা ব্যাক্তিবর্গদের সমন্বয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডা.মুনির ও তার মেয়ে সুফিয়া বেগমের নাম তালিকাভুক্তির গেজেট বাতিলের দাবী জানানো হয় এই সম্মেলনে।
সম্মেলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান, সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো.ইমদাদুল হক, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকরামুল হক, উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, সহ. সভাপতি শামিমুজ্জামান জুযেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।