Dhaka ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন হাওর ইজারা বন্ধ করতে হবে: ফরিদা আখতার ‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ

কন্যাশ্রীর টাকা ভুয়া একাউন্টের মাধ্যমে আত্মসাৎ : অভিযুক্ত কর্মী গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
  • ৮৯ Time View

তপন কান্তি মন্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

পশ্চিমবঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রায় আট লক্ষ টাকা ভুয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিদ্যালয়েরই এক কর্মী ও তার পিতা।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর মজিলপুর বালিকা বিদ্যালয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগক্রমে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সন্দীপ রায় ও তার পিতা অনুপ রায়কে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে সন্দীপ ২০১৭ সালে চুক্তি ভিত্তিতে ওই কাজে নিযুক্ত হন। কন্যাশ্রীর যাবতীয় কাজ তিনি করতেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মণ্ডল। ২০২০ সালে তিনি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার পর তার কাজের কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন। বিষয়টি পরিচালক মণ্ডলীর নজরেও আনেন। গত বছর অক্টোবরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এবার ৫৪ জন ছাত্রী কন্যাশ্রীর টাকা না পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে যে, উক্ত কর্মী সন্দীপ রায় নির্দিষ্ট পোর্টালে ছাত্রীদের নাম তালিকাভুক্ত করলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লেখা হতো তার নিজের ও পরিচিত ব্যক্তিদের। এভাবে বিভিন্ন একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই কাজে তার পিতার জড়িত থাকার অভিযোগে তাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিন বছর ধরে চলতে থাকা এই ঘটনায় হতবাক অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা । তাদের দাবি তোলেন যে, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক নেতাদের কোন ভূমিকা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হোক। বিদ্যালয় পরিচালক সমিতির সভাপতি দয়াল মণ্ডল জানান যে, এপর্যন্ত ৩২ টি একাউন্টের কথা জানা গেছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একাউন্ট হোল্ডারদের বিবরণ জানালে তাদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ অভিযুক্তদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন বাতিল করে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন

কন্যাশ্রীর টাকা ভুয়া একাউন্টের মাধ্যমে আত্মসাৎ : অভিযুক্ত কর্মী গ্রেপ্তার

Update Time : ০৪:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

তপন কান্তি মন্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

পশ্চিমবঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রায় আট লক্ষ টাকা ভুয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিদ্যালয়েরই এক কর্মী ও তার পিতা।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর মজিলপুর বালিকা বিদ্যালয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগক্রমে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সন্দীপ রায় ও তার পিতা অনুপ রায়কে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে সন্দীপ ২০১৭ সালে চুক্তি ভিত্তিতে ওই কাজে নিযুক্ত হন। কন্যাশ্রীর যাবতীয় কাজ তিনি করতেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মণ্ডল। ২০২০ সালে তিনি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার পর তার কাজের কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন। বিষয়টি পরিচালক মণ্ডলীর নজরেও আনেন। গত বছর অক্টোবরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এবার ৫৪ জন ছাত্রী কন্যাশ্রীর টাকা না পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে যে, উক্ত কর্মী সন্দীপ রায় নির্দিষ্ট পোর্টালে ছাত্রীদের নাম তালিকাভুক্ত করলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লেখা হতো তার নিজের ও পরিচিত ব্যক্তিদের। এভাবে বিভিন্ন একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই কাজে তার পিতার জড়িত থাকার অভিযোগে তাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিন বছর ধরে চলতে থাকা এই ঘটনায় হতবাক অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা । তাদের দাবি তোলেন যে, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক নেতাদের কোন ভূমিকা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হোক। বিদ্যালয় পরিচালক সমিতির সভাপতি দয়াল মণ্ডল জানান যে, এপর্যন্ত ৩২ টি একাউন্টের কথা জানা গেছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একাউন্ট হোল্ডারদের বিবরণ জানালে তাদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ অভিযুক্তদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন বাতিল করে দেন।