খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়েছে। ৫ রোগী ভর্তির মাধ্যমে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু করা হয়। জরুরি বিভাগ সংলগ্ন প্লাষ্টিক এন্ড বার্ণ ইউনিটের ২০টি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিনি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ১৫টি ও চতুর্থ তলার আইসিইউ বিভাগের ১০টি বেডসহ মোট ৪৫টি বেড নিয়ে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়।
আজ শনিবার (৩ জুলাই) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খুলনা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ভার্চ্যুয়ালি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচলক ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা: প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ হাসপাতাল থেকে প্রতিমন্ত্রীর সাথে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জুম মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, খুলনায় যেহেতু করোনা রোগীর প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়েছে সে কারণে অতিদ্রুত শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে একটি করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট করার জন্য বলা হয়েছিলো মন্ত্রণালয় থেকে। সে মোতাবেক আমরা ৩০ জুন থেকে একটানা কাজ করে ইউনিটটি প্রস্তুত করি। শনিবার সকাল ১০ টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর রোগী ভর্তি শুরু করা হয়। এখানে শুধু মাত্র করোনা পজেটিভ রোগী যাদের ভর্তি প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হবে। ৩৫টি সাধারণ বেড ও ১০ টি আইসিইউ সরবমোট ৪৫টি বেড নিয়ে হাসপাতালটিতে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট চালু হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য প্রধানত যেটা লাগে তা হলো অক্সিজেন। অক্সিজেন সরবরাহ আছে। আর যে গুলি প্রয়োজন হয় হাইপো নেজাল ক্যানুলা যা আমাদের এই মুহূর্তে একটিও নেই।
কতজন চিকিৎসক ও নার্স করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এখানে খুবই ডাক্তার সংকট। বিশেষ করে মেডিকেল অফিসার সংকট। ১০টি ইউনিট চালু রয়েছে হাসপাতালটিতে। যেখানে প্রত্যেকটি বিভাগে যে পরিমাণ মেডিকেল অফিসার দরকার তার অর্ধেকও নেই। এরপর করোনা ইউনিট শুরু হয়েছে। মোট ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ৩০ জন নার্স নিয়ে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়েছে।
প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মোট ৫ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন করোনা ইউনিটে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত ২৯ জুনের এক পত্রের আলোকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর নির্দেশ দেয়া হয়। ওই নির্দেশের আলোকে বুধবার সকালে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সকল বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালের উত্তর পাশের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন প্লাষ্টিক এন্ড বার্ণ ইউনিটের ২০টি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিনি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ১৫টি বেড স্থাপন করা হয়। ওই ৩৫টি বেড ছাড়াও চতুর্থ তলার আইসিইউ বিভাগের ১০টি বেডও করোনার রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। আইসিইউর ১০টিসহ মোট ৪৫টি বেডে রোগী ভর্তি করা হবে। নিচ তলা থেকে রোগীদের চতুর্থ তলার আইসিইউতে নেয়ার জন্যও ব্যবহার করা হবে পৃথক লিফট।