Dhaka ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনে ঢালাও রদবদল; উপেক্ষিত রইলো লক্ষ লক্ষ শিক্ষক ও অধ‍্যাপকদের সংগঠন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • ৩৯৭ Time View

মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক,পশ্চিমবঙ্গ:

আজ দুপুর ২টোয় তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে তৃণমূল
কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে ঢালাও রদবদল হলো।

কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়,পূর্ণেন্দু বসু, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।

এই বৈঠকে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর কয়েকটি সাংগঠনিক পদে রদবদল করা হলো এবং কয়েকটি নতুন সাংগঠনিক পদ সৃষ্টি করে সেখানে তারকা প্রাধান্য দেওয়া হলো। বৈঠকে “এক ব‍্যক্তি, এক পদ নীতি” কে প্রাধান্য দিলেন তৃণমূল সুপ্রীমো। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সর্বভারতীয় স্তরে বাংলার নিজের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে এই ব‍্যাপক রদবদল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তৃতীয়বারের জন‍্য সরকারের ক্ষমতা আসার ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাদের অন‍্যতম ছিলেন যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে এবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এর পদ দিয়ে দলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ডে আসীন করা হলো।সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অভিষেকের অভিষেক ঘটলো। রদবদলে গুরুত্ব দেওয়া হলো তারুণ্যে।
এছাড়া আর যে সব রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব ও তারকারা যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ
পেলেন তারা হলেন-
২.সর্ব ভারতীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি- কাকলী ঘোষদস্তিদার


৩.ক্ষেতমজুর সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি- পূর্ণেন্দু বসু
৪.রাজ‍্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক- কুণাল ঘোষ
৫.আই এন টি ইউ সি-র সর্বভারতীয় সভাপতি-দোলা সেন
৬.আই এন টি ইউ সির রাজ‍্য সম্পাদক-ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৭. তৃণমূলের রাজ‍্য সম্পাদক-সায়ন্তিকা ব‍্যানার্জী


৮.রাজ‍্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী-সায়নী ঘোষ
৯.কালচারাল সেলের সভাপতি-রাজ চক্রবর্তী

১০.বঙ্গজননী সেলের সভাপতি-মালা রায়, সাথে দায়িত্ব দেওয়া হলো লাভলী মৈত্র ও জুন মালিয়াকে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে একজন ব‍্যক্তি একটি সর্বোচ্চ পদে থাকতে পারবেন। সেই অর্থে ৪টি জেলার ৪মন্ত্রী, যারা আবার জেলা সভাপতি ছিলেন, তাদের একমাস সময় দেওয়া হয়েছে যে কোন একটি দায়িত্ব বেছে নিতে, সেক্ষেত্রে ৪টি জেলায় নতুন ৪ জন সভাপতি দায়িত্ব পাবেন।জেলাগুলো হলো ১.উত্তর ২৪পরগনা ২.হাওড়া গ্রামীণ ৩.পূর্ব মেদিনীপুর ৪.পূর্ব বর্ধমান।

সবচেয়ে যে বিষয়টি বৈঠকে অবহেলিত থেকে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তাহলো-রাজ‍্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক, মাধ‍্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের সংগঠন ও রাজ‍্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বিষয়ে এবং তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের বিষয়ে মাদার পার্টি হিসেবে তূণমূল কংগ্রেস আশ্চর্যরকমভাবে বৈঠকে উচ্চবাচ‍্য না করে শিক্ষকমহল ও ছাত্রসমাজের প্রতি অবহেলা ও উদাসীনতায় কি সীলমোহর দিল ? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি এখন শিক্ষক মহল, রাজনৈতিক মহল ও আমজনতার হৃদয়ে তোলপাড় করছে বলে রাজ‍্যবাসী মনে করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনে ঢালাও রদবদল; উপেক্ষিত রইলো লক্ষ লক্ষ শিক্ষক ও অধ‍্যাপকদের সংগঠন

Update Time : ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক,পশ্চিমবঙ্গ:

আজ দুপুর ২টোয় তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে তৃণমূল
কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে ঢালাও রদবদল হলো।

কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়,পূর্ণেন্দু বসু, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।

এই বৈঠকে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর কয়েকটি সাংগঠনিক পদে রদবদল করা হলো এবং কয়েকটি নতুন সাংগঠনিক পদ সৃষ্টি করে সেখানে তারকা প্রাধান্য দেওয়া হলো। বৈঠকে “এক ব‍্যক্তি, এক পদ নীতি” কে প্রাধান্য দিলেন তৃণমূল সুপ্রীমো। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সর্বভারতীয় স্তরে বাংলার নিজের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে এই ব‍্যাপক রদবদল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তৃতীয়বারের জন‍্য সরকারের ক্ষমতা আসার ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাদের অন‍্যতম ছিলেন যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে এবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এর পদ দিয়ে দলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ডে আসীন করা হলো।সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অভিষেকের অভিষেক ঘটলো। রদবদলে গুরুত্ব দেওয়া হলো তারুণ্যে।
এছাড়া আর যে সব রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্ব ও তারকারা যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ
পেলেন তারা হলেন-
২.সর্ব ভারতীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি- কাকলী ঘোষদস্তিদার


৩.ক্ষেতমজুর সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি- পূর্ণেন্দু বসু
৪.রাজ‍্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক- কুণাল ঘোষ
৫.আই এন টি ইউ সি-র সর্বভারতীয় সভাপতি-দোলা সেন
৬.আই এন টি ইউ সির রাজ‍্য সম্পাদক-ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৭. তৃণমূলের রাজ‍্য সম্পাদক-সায়ন্তিকা ব‍্যানার্জী


৮.রাজ‍্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী-সায়নী ঘোষ
৯.কালচারাল সেলের সভাপতি-রাজ চক্রবর্তী

১০.বঙ্গজননী সেলের সভাপতি-মালা রায়, সাথে দায়িত্ব দেওয়া হলো লাভলী মৈত্র ও জুন মালিয়াকে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে একজন ব‍্যক্তি একটি সর্বোচ্চ পদে থাকতে পারবেন। সেই অর্থে ৪টি জেলার ৪মন্ত্রী, যারা আবার জেলা সভাপতি ছিলেন, তাদের একমাস সময় দেওয়া হয়েছে যে কোন একটি দায়িত্ব বেছে নিতে, সেক্ষেত্রে ৪টি জেলায় নতুন ৪ জন সভাপতি দায়িত্ব পাবেন।জেলাগুলো হলো ১.উত্তর ২৪পরগনা ২.হাওড়া গ্রামীণ ৩.পূর্ব মেদিনীপুর ৪.পূর্ব বর্ধমান।

সবচেয়ে যে বিষয়টি বৈঠকে অবহেলিত থেকে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তাহলো-রাজ‍্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক, মাধ‍্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের সংগঠন ও রাজ‍্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বিষয়ে এবং তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের বিষয়ে মাদার পার্টি হিসেবে তূণমূল কংগ্রেস আশ্চর্যরকমভাবে বৈঠকে উচ্চবাচ‍্য না করে শিক্ষকমহল ও ছাত্রসমাজের প্রতি অবহেলা ও উদাসীনতায় কি সীলমোহর দিল ? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি এখন শিক্ষক মহল, রাজনৈতিক মহল ও আমজনতার হৃদয়ে তোলপাড় করছে বলে রাজ‍্যবাসী মনে করছে।