Dhaka ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

নন্দীগ্রামে মধু মাসের রসালো ফলের সমাহার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • ১২৪ Time View

টিপুসলতান,নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

ঋতু চক্রের পালাবদলে প্রকৃতিতে চলছে এখন গ্রীষ্মকাল। প্রখর তাপ প্রবাহের দাপট দেখিয়ে বিদায় নিয়েছে বৈশাখ।

শুরু হয়েছে মধুমাস হিসেবে খ্যাত জৈষ্ঠ্য। এখন মাঝে মাঝেই দেখা মিলছে প্রশান্তির বৃষ্টি।মধু মাসের রসালো ফলের সমাহার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাজারে।

খরতাপে অতিষ্ঠ তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রাণ জুড়াতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাজারে এখন হরেক রকমের রসালো ফলের আমদানি ঘটেছে।দোকানিরা দোকানগুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখছে বিভিন্ন জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আনারস, তরমুজ, বাঙ্গীসহ বাহারি সব দেশী ফল।উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও স্হানীয় দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই রসালো ফলগুলো। নানা ফলের সুমধুরঘ্রাণে ভরে উঠছে বাজারের আশপাশ। আবার হাট-বাজারে ফলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও থাকছে চোখে পড়ার মতো। মিষ্টি এই মৌসুমী ফলগুলো নতুন বাজারে আসায় সব ধরণের ক্রেতারাই কম বেশি কেনার চেষ্টা করছে।সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিলে আম ও লিচুর দোকানে। তবে খুব কম পরিমাণেই বাজারে উঠেছে বাঙালির জাতীয় ফল কাঁঠাল।যদিও ফলের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনও বাজারে ফলের প্রাচুর্যতা তেমন বাড়েনি। তাই দাম একটু বেশি।বাজারে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ পিস লিচু বিক্র হচ্ছে প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩৪০টাকায়, বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ১২০ টাকায়। জাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় ও প্রতিটি কাঁঠাল আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে ।নন্দীগ্রাম কলেজ পাড়ার বাসিন্দা ফল ক্রেতা হাসান মিঠু জানান, ছেলে-মেয়েরা মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে পছন্দ করে। তবে ভরা মৌসুমেও ফলের বাজার একটু বেশিই মনে হচ্ছে। আমি৬০ টাকা কেজি আম ও ১০০ শো লিচু ৩৪০ টাকায় কিনেছি।নন্দীগ্রাম হাটের ফল ক্রেতা রাসেল আহম্মেদ জানান, এ মাসে মিষ্টি জাতীয় ফল আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচুসহ বিভিন্ন ধরণের ফল বাজারে এসেছে। মানুষ তার সাধ্যমতো এ সকল ফলগুলো ক্রয়ও করছে। আমিও কিছু ফল কিনেছি তবে কিছু লিচু ব‍্যবসায়ী ১০০ পিচের লিচুর ঝোপাতে ৮০থেকে ৮৫ পিচ লিচু দিয়ে ১০০ পিছ আছে বলে বিক্রয় করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন ।কাজেই তিনি মনে করেন এখানে শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন । লিচু কিনে ফল ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, এখনও বাজারে ভালো আম ও লিচু আসেনি। বিশেষ করে চায়না থ্রি লিচু ও আম্রপালি খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছেনা। ফল যখন বাজারে বেশি বেশি আসবে তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে। আগের তুলোনায় বাজার এখন কিছুটা কমেছে।ফল ব্যবসায়ী তোতা মিয়া জানান, আমরা ফলগুলো কিনে এনে বিক্রি করি। তাই বেশি দামে কিনতে হলে আবার বেশি দামেই বিক্রয় করতে হয়। আম ৬০-১০০ টাকা ও লিচু ১০০ পিচ ২৫০-৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং লিচুর ঝোপাতে কমের বিষয়ে তিনি বলেন হয়তোবা অনেক অসাধু ব‍্যবসায়ী এধরনের কাজ করে থাকতে পারেন ভ্রাম‍্যমান আদালতের মাধ‍্যমে তাদেরকে শাস্তির ব‍্যবস্হা করা হোক।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, যেকোন ফল মানবদেহের জন্য উপকারী। বিশেষ করে এই মৌসুমী ফলগুলোতে ভিটামিন ও মিনারেলসহ নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তাই সবারই পরিমিত পরিমানে এ ফলগুলো খাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে মধু মাসের রসালো ফলের সমাহার

Update Time : ১২:৪১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

টিপুসলতান,নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

ঋতু চক্রের পালাবদলে প্রকৃতিতে চলছে এখন গ্রীষ্মকাল। প্রখর তাপ প্রবাহের দাপট দেখিয়ে বিদায় নিয়েছে বৈশাখ।

শুরু হয়েছে মধুমাস হিসেবে খ্যাত জৈষ্ঠ্য। এখন মাঝে মাঝেই দেখা মিলছে প্রশান্তির বৃষ্টি।মধু মাসের রসালো ফলের সমাহার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাজারে।

খরতাপে অতিষ্ঠ তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রাণ জুড়াতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাজারে এখন হরেক রকমের রসালো ফলের আমদানি ঘটেছে।দোকানিরা দোকানগুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখছে বিভিন্ন জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আনারস, তরমুজ, বাঙ্গীসহ বাহারি সব দেশী ফল।উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও স্হানীয় দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই রসালো ফলগুলো। নানা ফলের সুমধুরঘ্রাণে ভরে উঠছে বাজারের আশপাশ। আবার হাট-বাজারে ফলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও থাকছে চোখে পড়ার মতো। মিষ্টি এই মৌসুমী ফলগুলো নতুন বাজারে আসায় সব ধরণের ক্রেতারাই কম বেশি কেনার চেষ্টা করছে।সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিলে আম ও লিচুর দোকানে। তবে খুব কম পরিমাণেই বাজারে উঠেছে বাঙালির জাতীয় ফল কাঁঠাল।যদিও ফলের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনও বাজারে ফলের প্রাচুর্যতা তেমন বাড়েনি। তাই দাম একটু বেশি।বাজারে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ পিস লিচু বিক্র হচ্ছে প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩৪০টাকায়, বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ১২০ টাকায়। জাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় ও প্রতিটি কাঁঠাল আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে ।নন্দীগ্রাম কলেজ পাড়ার বাসিন্দা ফল ক্রেতা হাসান মিঠু জানান, ছেলে-মেয়েরা মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে পছন্দ করে। তবে ভরা মৌসুমেও ফলের বাজার একটু বেশিই মনে হচ্ছে। আমি৬০ টাকা কেজি আম ও ১০০ শো লিচু ৩৪০ টাকায় কিনেছি।নন্দীগ্রাম হাটের ফল ক্রেতা রাসেল আহম্মেদ জানান, এ মাসে মিষ্টি জাতীয় ফল আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচুসহ বিভিন্ন ধরণের ফল বাজারে এসেছে। মানুষ তার সাধ্যমতো এ সকল ফলগুলো ক্রয়ও করছে। আমিও কিছু ফল কিনেছি তবে কিছু লিচু ব‍্যবসায়ী ১০০ পিচের লিচুর ঝোপাতে ৮০থেকে ৮৫ পিচ লিচু দিয়ে ১০০ পিছ আছে বলে বিক্রয় করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন ।কাজেই তিনি মনে করেন এখানে শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন । লিচু কিনে ফল ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, এখনও বাজারে ভালো আম ও লিচু আসেনি। বিশেষ করে চায়না থ্রি লিচু ও আম্রপালি খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছেনা। ফল যখন বাজারে বেশি বেশি আসবে তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে। আগের তুলোনায় বাজার এখন কিছুটা কমেছে।ফল ব্যবসায়ী তোতা মিয়া জানান, আমরা ফলগুলো কিনে এনে বিক্রি করি। তাই বেশি দামে কিনতে হলে আবার বেশি দামেই বিক্রয় করতে হয়। আম ৬০-১০০ টাকা ও লিচু ১০০ পিচ ২৫০-৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং লিচুর ঝোপাতে কমের বিষয়ে তিনি বলেন হয়তোবা অনেক অসাধু ব‍্যবসায়ী এধরনের কাজ করে থাকতে পারেন ভ্রাম‍্যমান আদালতের মাধ‍্যমে তাদেরকে শাস্তির ব‍্যবস্হা করা হোক।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, যেকোন ফল মানবদেহের জন্য উপকারী। বিশেষ করে এই মৌসুমী ফলগুলোতে ভিটামিন ও মিনারেলসহ নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তাই সবারই পরিমিত পরিমানে এ ফলগুলো খাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।