Dhaka ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোর সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • 93

নিজস্ব প্রতিবেদক:  

 ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোর সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি খাবার মজুদ করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পূর্ণিমার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে নিুাঞ্চল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জানমালের ক্ষতি কমাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া জেলাজুড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে এবং কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফের বেশকিছু এলাকায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে নিুাঞ্চল।

পটুয়ালীতে জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলায় ৭০২টি সাইক্লোন সেন্টার ও ৯৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীতে পানি বেড়ে বরগুনার নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বহু বাড়ীঘর ও পুকুর। বাঁধ ডুবে নিুাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।

ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ।

ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি রয়েছে ২ হাজার মানুষ। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৭০৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র।

বাগেরহাটের নদী ও খালের পানি বেড়েছে। দুশ্চিন্তায় মাছের ঘেরের মালিকরা। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। বিভিন্নস্থানে সহস্রাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা ও খুলনায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিুাঞ্চল। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনায় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার নিুাঞ্চল ডুবে গেছে। মতিরহাট ও চর ফলকন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পানিবন্দি বেশ কয়েক গ্রামের মানুষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোর সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

Update Time : ০৩:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:  

 ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোর সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি খাবার মজুদ করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পূর্ণিমার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে নিুাঞ্চল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জানমালের ক্ষতি কমাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া জেলাজুড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে এবং কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফের বেশকিছু এলাকায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে নিুাঞ্চল।

পটুয়ালীতে জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলায় ৭০২টি সাইক্লোন সেন্টার ও ৯৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীতে পানি বেড়ে বরগুনার নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বহু বাড়ীঘর ও পুকুর। বাঁধ ডুবে নিুাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।

ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ।

ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি রয়েছে ২ হাজার মানুষ। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৭০৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র।

বাগেরহাটের নদী ও খালের পানি বেড়েছে। দুশ্চিন্তায় মাছের ঘেরের মালিকরা। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। বিভিন্নস্থানে সহস্রাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা ও খুলনায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিুাঞ্চল। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনায় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার নিুাঞ্চল ডুবে গেছে। মতিরহাট ও চর ফলকন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পানিবন্দি বেশ কয়েক গ্রামের মানুষ।