Dhaka ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অগামী ২৬শে মে বিশ্ববাসী সাক্ষী হতে চলেছে ব্লাড মুনের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • ১৪২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চলতি বছরের প্রথম ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে আগামী সপ্তাহে। অগামী ২৬শে মে বিশ্ববাসী সাক্ষী হতে চলেছে ব্লাড মুনের। রাতের আকাশে এই ব্লাড মুনের স্থায়িত্ব হবে সাড়ে ১৪ মিনিট।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা মিলবে ব্লাড মুনের। এর অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ভারত মহাসাগর, প্রশাান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু এলাকায় মানুষজন। এছাড়াও আংশকিভাবে অনেক জায়গায় দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’।

বছরে সাধারণত একবার দেখা যায় ‘ব্লাড মুন’। মোট তিন ঘণ্টা সাত মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে ২০২১ সালের ‘ব্লাড মুন’। এর মধ্যেই চলবে আংশিক এবং পূর্ণগ্রাাস গ্রহণ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে মাত্র সাড়ে ১৪ মিনিট।

যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একটি সরলরেখায় চলে আসে তখন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়। এসময় পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে। চাঁদের উপর সূর্যের আলো সরাসরি পড়তে পারে না। প্রতিসরণের ফলে আলো চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়ে। এর ফলে চাঁদকে রক্তের মতো লাল দেখায়। একেই বলা হয় ব্লাড মুন।

এই ব্লাড মুনকে ‘সুপার মুন’ বা ‘সুপার ফ্লাওয়ার ব্লাড মুনও’ বলা হয়ে থাকে। সুপার মুনের আকার সাধারণ চাঁদের তুলনায় কিছুটা বড় হয়। অন্যদিনের চেয়ে এই দিন চাঁদ ৩০ শতাংশ বড় এবং ১৪ শতাংশের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল দেখায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে যে চাঁদ দেখা যাবে, চলতি বছরে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় চাঁদ। পরবর্তী ব্লাড মুন দেখা যাবে ২০২২ সালের ১৬ মে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

অগামী ২৬শে মে বিশ্ববাসী সাক্ষী হতে চলেছে ব্লাড মুনের

Update Time : ০৬:৫২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চলতি বছরের প্রথম ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে আগামী সপ্তাহে। অগামী ২৬শে মে বিশ্ববাসী সাক্ষী হতে চলেছে ব্লাড মুনের। রাতের আকাশে এই ব্লাড মুনের স্থায়িত্ব হবে সাড়ে ১৪ মিনিট।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা মিলবে ব্লাড মুনের। এর অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ভারত মহাসাগর, প্রশাান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু এলাকায় মানুষজন। এছাড়াও আংশকিভাবে অনেক জায়গায় দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’।

বছরে সাধারণত একবার দেখা যায় ‘ব্লাড মুন’। মোট তিন ঘণ্টা সাত মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে ২০২১ সালের ‘ব্লাড মুন’। এর মধ্যেই চলবে আংশিক এবং পূর্ণগ্রাাস গ্রহণ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে মাত্র সাড়ে ১৪ মিনিট।

যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একটি সরলরেখায় চলে আসে তখন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়। এসময় পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে। চাঁদের উপর সূর্যের আলো সরাসরি পড়তে পারে না। প্রতিসরণের ফলে আলো চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়ে। এর ফলে চাঁদকে রক্তের মতো লাল দেখায়। একেই বলা হয় ব্লাড মুন।

এই ব্লাড মুনকে ‘সুপার মুন’ বা ‘সুপার ফ্লাওয়ার ব্লাড মুনও’ বলা হয়ে থাকে। সুপার মুনের আকার সাধারণ চাঁদের তুলনায় কিছুটা বড় হয়। অন্যদিনের চেয়ে এই দিন চাঁদ ৩০ শতাংশ বড় এবং ১৪ শতাংশের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল দেখায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে যে চাঁদ দেখা যাবে, চলতি বছরে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় চাঁদ। পরবর্তী ব্লাড মুন দেখা যাবে ২০২২ সালের ১৬ মে।