Dhaka ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিলিয়ান এমবাপ্পের নৈপুণ্যে পিএসজি’র শিরোপা লাভ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
  • 97

স্পোর্টস ডেস্ক:

ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে ব্যবধান গড়ে দিলেন একাই। নিজে গোল করলেন, অন্যকে দিয়েও করালেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের এমন নৈপুণ্যে মোনাকোকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল প্রতিযোগিতার সফলতম দল পিএসজি। 

প্যারিসে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে মাউরো ইকার্দি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। ফরাসি কাপে পিএসজির এটি টানা দ্বিতীয় ও মোট চতুর্দশ শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বার এর শিরোপা জিতেছে মার্সেই।

গত তিন দশকের অপেক্ষার অবসান এবারও হলো না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মোনাকোর। ১৯৯১ সালে সবশেষ শিরোপা জেতা দলটি এর আগে শেষবার ফাইনালে খেলেছিল ২০১০ সালে। সেবারও পিএসজির কাছেই হেরেছিল মোনাকো।

এদিকে চোট ও নিষেধাজ্ঞার কারণে পূর্ণ শক্তির দল পাননি পচেত্তিনো। কার্ডের খড়গে কাটা পড়েন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে সৃজনশীলতার অভাব স্পষ্ট ছিল পিএসজির খেলায়।

ঢিমেতালে চলা ম্যাচে আকসেল দিসাসির মারাত্মক ভুলে ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। মোনাকোর ডি-বক্সের মুখে মুহূর্তের অমনোযোগীতায় এমবাপ্পের কাছে বল হারান এই ডিফেন্ডার। গোলে শট না নিয়ে এই ফরাসি ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন অরক্ষিত ইকার্দিকে। ফিনিশিংটা অনায়াসে সারেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

চলসি মৌসুমে লিগ ওয়ানে পিএসজিকে দুবার হারানো মোনাকো এদিন আর সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি নিজেদেরকে। লক্ষ্যে নেওয়া তাদের প্রতিটি শটই ছিল গোলরক্ষক বরাবর। ভালো সুযোগ তৈরি করতে সংগ্রাম করছিল পিএসজিও। ৮০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল দলটি। বেশ দূর থেকে এমবাপ্পের নেয়া শট ক্রসবার কাঁপায়।

পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই তরুণ ফ্রেঞ্চ তারকা। আঞ্জেল ডি মারিয়ার ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। ফলে ২-০ ব্যবধানেই শিরোপা তুলে ধরে পিএসজি।

তাই এবার ডাবল জেতার হাতছানি পচেত্তিনোর সামনে। তবে লিগ ওয়ানে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জিতলেও শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চয়তা নেই তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিলিই। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তাদের পেছনেই পিএসজি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

কিলিয়ান এমবাপ্পের নৈপুণ্যে পিএসজি’র শিরোপা লাভ

Update Time : ০৪:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক:

ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে ব্যবধান গড়ে দিলেন একাই। নিজে গোল করলেন, অন্যকে দিয়েও করালেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের এমন নৈপুণ্যে মোনাকোকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল প্রতিযোগিতার সফলতম দল পিএসজি। 

প্যারিসে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে মাউরো ইকার্দি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। ফরাসি কাপে পিএসজির এটি টানা দ্বিতীয় ও মোট চতুর্দশ শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বার এর শিরোপা জিতেছে মার্সেই।

গত তিন দশকের অপেক্ষার অবসান এবারও হলো না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মোনাকোর। ১৯৯১ সালে সবশেষ শিরোপা জেতা দলটি এর আগে শেষবার ফাইনালে খেলেছিল ২০১০ সালে। সেবারও পিএসজির কাছেই হেরেছিল মোনাকো।

এদিকে চোট ও নিষেধাজ্ঞার কারণে পূর্ণ শক্তির দল পাননি পচেত্তিনো। কার্ডের খড়গে কাটা পড়েন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে সৃজনশীলতার অভাব স্পষ্ট ছিল পিএসজির খেলায়।

ঢিমেতালে চলা ম্যাচে আকসেল দিসাসির মারাত্মক ভুলে ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। মোনাকোর ডি-বক্সের মুখে মুহূর্তের অমনোযোগীতায় এমবাপ্পের কাছে বল হারান এই ডিফেন্ডার। গোলে শট না নিয়ে এই ফরাসি ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন অরক্ষিত ইকার্দিকে। ফিনিশিংটা অনায়াসে সারেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

চলসি মৌসুমে লিগ ওয়ানে পিএসজিকে দুবার হারানো মোনাকো এদিন আর সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি নিজেদেরকে। লক্ষ্যে নেওয়া তাদের প্রতিটি শটই ছিল গোলরক্ষক বরাবর। ভালো সুযোগ তৈরি করতে সংগ্রাম করছিল পিএসজিও। ৮০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল দলটি। বেশ দূর থেকে এমবাপ্পের নেয়া শট ক্রসবার কাঁপায়।

পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই তরুণ ফ্রেঞ্চ তারকা। আঞ্জেল ডি মারিয়ার ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। ফলে ২-০ ব্যবধানেই শিরোপা তুলে ধরে পিএসজি।

তাই এবার ডাবল জেতার হাতছানি পচেত্তিনোর সামনে। তবে লিগ ওয়ানে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জিতলেও শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চয়তা নেই তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিলিই। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তাদের পেছনেই পিএসজি।