ইমদাদুল হক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।এরই ধারাবাহিতকতায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেই এই কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে আবাদ করা বোরো ধান কর্তন শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার গাগান্না গ্রামের মাঠের প্রকল্প এলাকায় ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুর রশিদ, কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জুনাইদ হাবীব, ইমদাদুল হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, শ্রমিক সংকট নিরসন ও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধিতে সমলয় পদ্ধতিতে ধানের আবাদ করা হচ্ছে। এটি মুলত নির্দিষ্ট সময়ে একই এলাকার সকল কৃষক এক সাথে ধানের চারা রোপন, পরিচর্যা ও ধান কর্তন করবে। ধান আবাদে ব্যবহার করা হচ্ছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও কর্তনে ব্যবহার করা হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন।
জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, সমবায়ের মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সাথে কৃষকের মেলবন্ধন তৈরীতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। আশাকরি পাইলট এই স্কীম সফলতা লাভ করবে। ভবিষ্যতে জেলার অন্যান্য উপজেলাতে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়বে।তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে তুলনামূলক খরচ কম হবে এবং অধিক লাভ করবেন কৃষকরা। একই সঙ্গে কৃষকদের শ্রমিক সংকট নিরসন ও সময় সাশ্রয় হবে। এতে কৃষকের বোরো আবাদে আগ্রহ বাড়বে। কারণ জনসংখ্যার অনুপাতে দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তাই অধিক জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধান ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বোরো ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহের সাগান্না গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি চলছে। এটি হলো ‘সমলয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক স্বল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তাদের।
সাগান্না গ্রামের এই সমলয় পদ্ধতিতে আবাদ করা তেজগোল্ড জাতের ধানে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। এতে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩২ মন ফলন পাচ্ছেন তারা।