মোঃ পাভেল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবিতে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী মহানগরীতে বিক্ষোভ করেছে গণপরিবহন শ্রমিকরা।
রোববার (০২ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। পরে মিছিলটি কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
পথ সভায় রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, কঠোর লকডাউনে বন্ধ আছে গণপরিবহন। একই সাথে দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এতে পরিবহন খাতে জড়িত রাজশাহীর প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার এখন দিশেহারা। তাদের জীবন-জীবিকা থেমে গেছে। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। আয়শূন্য এসব মানুষের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর দাবিতে আজ শ্রমিকরা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি বক্তব্য রাখেন।
এসময় শ্রমিকরা বলেন, সারা দেশে নামমাত্র লকডাউন চলছে। বাজার-মার্কেট, দোকানপাট সব খোলা। শুধুমাত্র পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তারা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সবকিছু স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তাহলে পরিবহন বন্ধ থাকবে কেন? সামনে ঈদ আমাদের দীর্ঘদিন কাজ নেই। কীভাবে ঈদ করব পরিবার নিয়ে? তাই অবিলম্বে বাস, ট্রাক চলাচল করার সুযোগ করে দিন।
এসময় ৫ মে’র মধ্যে গণপরিবহন চালু না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা। সমাবেশে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাধারণ শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত শুক্রবার গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেড়ারেশন। দাবি বাস্তবায়নে রবিবার (২ মে) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামী মঙ্গলবার (৪ মে) সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে।
শ্রমিকদের তিন দফা দাবি হচ্ছে:
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩. সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।