Dhaka ০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা জেলা প্রশাসন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • ১০৮ Time View

মোঃ পাভেল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি

রাজশাহীতে এখন থেকে আর কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। আর খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তে আড়তে গিয়ে এ কথা জানিয়ে এসেছেন।এদিকে, রাজশাহীতে চলমান তাপদাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। সামান্য প্রশান্তি পেতে সারাদিন পর ইফতারে তরমুজে গলা ভেজাতে চাইছেন সবশ্রেণির মানুষ। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তরমুজ যেন এখন উচ্চবিত্তদের ফল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে একটি তরমুজ জমি থেকে ঠিকায় মাত্র পাঁচ থেকে ১০ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। সেই তরমুজ শহর এলাকায় নিয়ে এসে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। বাজার থেকে ফুটপাথ; শহরের যে প্রান্তেই যান না কেনো- প্রতিকেজি তরমুজের একটাই দাম ৬০ টাকা!

এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ। তাদের সঙ্গে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনও ছিলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহানগরীর সবচেয়ে বড় মোকাম শালবাগানের আড়তগুলোয় যান।তাদের দেখে অনেক তরমুজের আড়ৎদার আড়তের বেড়া লাগিয়ে পালিয়ে যান। তবে কর্মকর্তারা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। মামা-ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারে গিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সব আড়ত মালিকদের ডাকেন। তারপর জানিয়ে দেন, তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। তাই বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।

দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার (২৮ এপ্রিল) থেকে যদি খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা জেলা প্রশাসন

Update Time : ০৪:২৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

মোঃ পাভেল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি

রাজশাহীতে এখন থেকে আর কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। আর খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তে আড়তে গিয়ে এ কথা জানিয়ে এসেছেন।এদিকে, রাজশাহীতে চলমান তাপদাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। সামান্য প্রশান্তি পেতে সারাদিন পর ইফতারে তরমুজে গলা ভেজাতে চাইছেন সবশ্রেণির মানুষ। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তরমুজ যেন এখন উচ্চবিত্তদের ফল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে একটি তরমুজ জমি থেকে ঠিকায় মাত্র পাঁচ থেকে ১০ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। সেই তরমুজ শহর এলাকায় নিয়ে এসে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। বাজার থেকে ফুটপাথ; শহরের যে প্রান্তেই যান না কেনো- প্রতিকেজি তরমুজের একটাই দাম ৬০ টাকা!

এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ। তাদের সঙ্গে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনও ছিলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহানগরীর সবচেয়ে বড় মোকাম শালবাগানের আড়তগুলোয় যান।তাদের দেখে অনেক তরমুজের আড়ৎদার আড়তের বেড়া লাগিয়ে পালিয়ে যান। তবে কর্মকর্তারা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। মামা-ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারে গিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সব আড়ত মালিকদের ডাকেন। তারপর জানিয়ে দেন, তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। তাই বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।

দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার (২৮ এপ্রিল) থেকে যদি খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।