Dhaka ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিকটক ভিডিও শেয়ারের দায়ে মিশরে ৬ নারীর কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • ৮৯ Time View

টিকটকে ভিডিও শেয়ার করায় ৬ নারীকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছে মিশরের আদালত। পারিবারিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন, মানবপাচার উৎসাহিত করা ও লাম্পট্যের মূল অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। 

মিশরের রাজধানী কায়রোর আদালতে ছয় নারীর মধ্যে দুজনের দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১৬ হাজার ইউরো অর্থদণ্ড, তিন জনের শুধু দুই বছরের কারাদণ্ড এবং আরেকজনের তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবান জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়ে তারা বলেছেন, ‘এটা নাগরিক স্বাধীনতায় চরম আঘাত৷’ খবর ডয়চে ভেলে’র।

রায়ে ঐ ছয় নারীর বিরুদ্ধে ‘অশোভনভাবে নাচা’, ‘মিশরের পারিবারিক মূল্যবোধ ও নীতি লঙ্ঘন করা’, লাম্পট্য এবং মানবপাচার উৎসাহিত করার অভিযোগের উল্লেখ করা হয়। তবে এক বিবৃতিতে ৬ নারীর মধ্যে শুধু দুই জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন হানিন হোসাম এবং মাওয়াদা এলাদহাম। দুই জনই ছাত্রী। হানিনের বয়স ২০ এবং মাওয়াদার বয়স ২২ বছর।
জানা গেছে, হানিন, মাওয়াদা এবং বাবি চার নারী কখনও স্পোর্টস কারের ভেতরে বসে টিকটকের জন্য খুব ছোট ভিডিও করতেন। কখনও স্পোর্টস কারের বাইরে দাঁড়িয়ে নাচতেন। কখনও কখনও রান্নাঘর বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আপাত নিরীহ সব কৌতুক করতেও দেখা যেতো তাদের।

অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তাদের দাবি, অভিযুক্ত তরুণীরা টিকটকে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছেন, সচেতনভাবে আইন লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

টিকটক ভিডিও শেয়ারের দায়ে মিশরে ৬ নারীর কারাদণ্ড

Update Time : ০৬:০২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

টিকটকে ভিডিও শেয়ার করায় ৬ নারীকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছে মিশরের আদালত। পারিবারিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন, মানবপাচার উৎসাহিত করা ও লাম্পট্যের মূল অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। 

মিশরের রাজধানী কায়রোর আদালতে ছয় নারীর মধ্যে দুজনের দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১৬ হাজার ইউরো অর্থদণ্ড, তিন জনের শুধু দুই বছরের কারাদণ্ড এবং আরেকজনের তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবান জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়ে তারা বলেছেন, ‘এটা নাগরিক স্বাধীনতায় চরম আঘাত৷’ খবর ডয়চে ভেলে’র।

রায়ে ঐ ছয় নারীর বিরুদ্ধে ‘অশোভনভাবে নাচা’, ‘মিশরের পারিবারিক মূল্যবোধ ও নীতি লঙ্ঘন করা’, লাম্পট্য এবং মানবপাচার উৎসাহিত করার অভিযোগের উল্লেখ করা হয়। তবে এক বিবৃতিতে ৬ নারীর মধ্যে শুধু দুই জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন হানিন হোসাম এবং মাওয়াদা এলাদহাম। দুই জনই ছাত্রী। হানিনের বয়স ২০ এবং মাওয়াদার বয়স ২২ বছর।
জানা গেছে, হানিন, মাওয়াদা এবং বাবি চার নারী কখনও স্পোর্টস কারের ভেতরে বসে টিকটকের জন্য খুব ছোট ভিডিও করতেন। কখনও স্পোর্টস কারের বাইরে দাঁড়িয়ে নাচতেন। কখনও কখনও রান্নাঘর বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আপাত নিরীহ সব কৌতুক করতেও দেখা যেতো তাদের।

অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তাদের দাবি, অভিযুক্ত তরুণীরা টিকটকে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছেন, সচেতনভাবে আইন লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।