ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন’র (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোরবানির পশুর হাটে কোন প্রকার চাঁদাবাজি ও মাস্তানি বরদাস্ত করবেন না। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শনকালে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় তিনি পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং গবাদি পশু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাইকে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন উত্তরের এ নগর পিতা।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বছর মহামারির মধ্যেই পশু কোরবানি দিতে হচ্ছে। মহামারি মোকাবেলা করেই পশু কোরবানি দিতে হবে। এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বারবার বলা সত্ত্বেও দুই-এক জন শিশুদেরকে নিয়ে এসেছেন। উনারা যদি নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি না বোঝেন, বোঝানো দূরহ ব্যাপার। এখানে পশু বিক্রেতারা আমাকে বলছে আমরা গরু বিক্রয় করব না, যদি ক্রেতারা মাস্ক না পরে থাকেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছি, এটাই হওয়া উচিত। আমাদের হাট মনিটরিং কমিটি বিভিন্ন হাট নিয়মিত পরিদর্শন করছে। প্রতিটি হাটে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আপনারা মেহেরবানি করে নিজেদের সুরক্ষা নিজেরা ‘মেন্টেন’ করবেন। তাহলেই মহামারির চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবেলা করতে পারব।’
তবে ক্রেতাদেরকে হাটে এসে পশু কিনতে নিরুৎসাহিত করেন তিনি। ডিএনসিসির ডিজিটাল গরুর হাট থেকে পশু ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেন আতিকুল। উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৫৬ টি স্থানে কোরবানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিএনসিসির হাট মনিটরিং কমিটি বিভিন্ন হাট নিয়মিত পরিদর্শন করছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি হাটে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আপনারা মেহেরবানি করে নিজেদের সুরক্ষা নিজেরা বজায় রাখবেন। তাহলেই মহামারির চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’