Dhaka ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

কয়েক লাখ বানভাসি এখনোও পানিবন্দী

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • ১১৭ Time View

দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বন্যাকবলিত অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। দুর্গত এসব এলাকায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।  

অন্যদিকে, বানের পানিতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তীব্র স্রোতে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু কিছু স্থানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখনও পানিবন্দী রয়েছে। পানিবাহিত রোগ নিয়ে বিপাকে বানভাসিরা। ত্রাণ বিতরণ হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

গাইবান্ধায় দুদফা বন্যায় গাইবান্ধা চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে। নদ-নদীর পানি কমেনি। দীর্ঘ বন্যায় মানুষ পড়েছে খাদ্য সংকটে।

ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলে যমুনাসহ অন্যান্য নদীর পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নওগা এলাকায় পুংলী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

পার্শ্ববর্তী জেলা সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত এক মাসের অধিক সময় ধরে বন্যার পানি থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নদী পাড়ের চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, সদর, কাজিপুর উপজেলার বানভাসি সাড়ে ৩ লাখ মানুষ।

শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানির তোড়ে শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গেছে। এতে ঢাকা থেকে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদ-নদীর পানি কমলেও এখনও বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় শহরের আলীয়াবাদ, বিলমামুদপুর, সাদিপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৭ উপজেলার পানিবন্দী প্রায় ২ লাখ মানুষ।

এদিকে রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বাড়তে থাকায় কালিয়াকৈর বাজার, রাস্তাঘাটসহ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা ও মাছের খামার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

কয়েক লাখ বানভাসি এখনোও পানিবন্দী

Update Time : ১০:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বন্যাকবলিত অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। দুর্গত এসব এলাকায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।  

অন্যদিকে, বানের পানিতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তীব্র স্রোতে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু কিছু স্থানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখনও পানিবন্দী রয়েছে। পানিবাহিত রোগ নিয়ে বিপাকে বানভাসিরা। ত্রাণ বিতরণ হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

গাইবান্ধায় দুদফা বন্যায় গাইবান্ধা চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে। নদ-নদীর পানি কমেনি। দীর্ঘ বন্যায় মানুষ পড়েছে খাদ্য সংকটে।

ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইলে যমুনাসহ অন্যান্য নদীর পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নওগা এলাকায় পুংলী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

পার্শ্ববর্তী জেলা সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত এক মাসের অধিক সময় ধরে বন্যার পানি থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নদী পাড়ের চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, সদর, কাজিপুর উপজেলার বানভাসি সাড়ে ৩ লাখ মানুষ।

শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানির তোড়ে শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গেছে। এতে ঢাকা থেকে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদ-নদীর পানি কমলেও এখনও বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় শহরের আলীয়াবাদ, বিলমামুদপুর, সাদিপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৭ উপজেলার পানিবন্দী প্রায় ২ লাখ মানুষ।

এদিকে রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বাড়তে থাকায় কালিয়াকৈর বাজার, রাস্তাঘাটসহ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা ও মাছের খামার।