সোহেল রানা, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

রবিবার দুপুর ১ঃ০০ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খা ও নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়নে তিস্তার বুকে রবিশ্যসের বাম্পার ফলনে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আক্তার। বিদ্যানন্দের কৃষক মিজানুর রহমানের ২একর জমিতে পিয়াজ ও ১.৫একর জমিতে বাদামের ক্ষেত দেখে মুগ্ধ হন উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আক্তার।এসময় তিনি পিয়াজ ও বাদামের ক্ষেত ঘুরে ঘুরে দেখেন।পাশেই পিয়াজ উঠানো,মাড়াই করা ও বাজারজাত করার জন্য প্যাকেটজাতের কাজ করলিছেল শ্রমিকরা।এবারে পিয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেশ খুশি কৃষক মিজানুর রহমান।বাজারে পিয়াজের দাম ভালো থাকায় খুশির অন্ত নেই কৃষক মিজানুরের।কৃষক মিজানুর রহমান বলেন উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ দিয়ে আমি চাষাবাদ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছি আর বাজারের দামও ভালো থাকায় আমি বেশ খুশি।পরে তিস্তার চরে স্থানীয় কৃষক চান মিয়ার লাগানো বোরো ধান পরিদর্শন করেন কৃষি অফিসার সম্পা আক্তার। এসময় চান মিয়ার লাগানো বোরো ধানের কিছু অংশ কেটে মাড়াই করছিলেন।বোরোর বাম্পার ফলনে কৃষক চান মিয়াও বেশ খুশি।তিস্তার চরের রবিশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের রবিশস্য চাষাবাদে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আক্তার বেশ কিছু উদ্যোগের কথা জানান,কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তিস্তার চরে রবিশস্য ও মৌসুমী শস্য চাষাবাদে আগ্রহী করে তোলা,প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরকারীভাবে সহায়তা করা-বীজ, স্যার ও কীটনাশক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা ইত্যাদি।এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে অবশ্যই তিস্তার চরে রবিশস্য ও মৌসুমী শস্য চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে আমি মনে করি।ফলে রবিশস্য গুলোর মধ্যে আলু, পিয়াজ, বাদাম, রসুন, মিষ্টি কুমড়া, কাচা মরিচ, কাউন ইত্যাদি ফসল গুলো উৎপাদন বৃদ্ধি হলে একদিকে যেমন কৃষকরা নিজেদের চাহিদা মিটাতে পারবেন অন্যদিকে বাকী অংশ বাজারজাত করে লাভবান হতে পারবেন।এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা হৈমন্তী রাণী ও ইউনিয়ন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের, সাংবাদিক ইব্রাহীম আলম সবুজ, আব্দুল হাকিম সবুজ ও সোহেল রানা প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে