Dhaka ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারালো রাজস্থান রয়্যালস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
  • ১৪২ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক :

আইপিএলের ১৪তম আসরের সপ্তম ম্যাচে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

আগের ম্যাচে যাকে স্ট্রাইক না দিয়ে নিজেই জয় তুলে নিতে গিয়ে দলকে পরাজয়ে ডুবিয়েছিলেন সাঞ্জু, সেই ১৬.২৫ কোটি রুপি দামের ক্রিস মরিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই শেষদিকে এসে নাটকীয় জয় পায় রাজস্থান।

বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান জড়ো করে দিল্লী। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশভ পান্ট। ৯টি চারের সহায়তায় ৩২ বলে ৫১ রান করে পান্ট সাজঘরে ফিরলেই যেন খেই হারায় দল। তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি অন্য কেউই।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান (১৬ বলের মোকাবেলায়) আসে টম কারানের ব্যাট থেকে, যিনি মুস্তাফিজুর রহমানের শিকারে পরিণত হন। কারান ছাড়াও মুস্তাফিজ শিকার করেন মার্কাস স্টয়নিসকেও। ৪ ওভার বল করে ২৯ রান খরচ করা মুস্তাফিজ অবশ্য আরও উইকেটের দেখা পেতেন, যদি ভাগ্য পক্ষে থাকত। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন আরেক বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাটও, ১৫ রানের খরচায় শিকার করেন ৩টি উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সাঞ্জু স্যামসনের দল। এদিন কথা বলেনি আগের ম্যাচে নায়কোচিত ইনিংস খেলা সাঞ্জুর ব্যাট। মাত্র ৪ রানে ফেরেন সাজঘরে, রাবাদার শিকার হয়ে। যাতে এ ম্যাচেও যখন পরাজয় ঘনিয়ে আসছিল বলে মনে হচ্ছিল, তখনই ব্যাট হাতে চড়াও হন ডেভিড মিলার। আসরে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া মিলার সাজঘরে ফেরার আগে ৪৩ বলে করেন ৬২ রান; ৭টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে।

তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মরিস। ১৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন ২ বল ও ৩ উইকেট বাকি থাকতেই। কোনও চার না হাঁকালেও মরিসের ব্যাট থেকে আসে ৪টি ছক্কার মার। হয়তো আগের ম্যাচে তাকে অবহেলার প্রতিবাদই জানালেন প্রোটিয়া এই অলরাউন্ডার!

আগের ম্যাচের মত এ ম্যাচেও জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১২ রানের প্রয়োজন দেখা দেয় রাজস্থানের। টম কারানের করা প্রথম বলে ২ রান নেন ক্রিস মরিস। পরের বলেই হাঁকান ছক্কা। এক বল বিরতি দিয়ে আরও একটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজের মুঠোয় করে নেন মরিস।

প্রতিপক্ষের আভেশ খান ৩টি এবং কাগিসো রাবাদা ও ক্রিস ওকস ২টি করে উইকেট লাভ করেন। তবে ম্যাচ সেরা হন অন্যপ্রান্তে ৭ বলে ১১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা উনাদকাটই। যিনি বল হাতে মাত্র ১৫ রান দিয়ে দিল্লীর টপ অর্ডারে কাঁপন ধরিয়েছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারালো রাজস্থান রয়্যালস

Update Time : ০৩:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক :

আইপিএলের ১৪তম আসরের সপ্তম ম্যাচে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

আগের ম্যাচে যাকে স্ট্রাইক না দিয়ে নিজেই জয় তুলে নিতে গিয়ে দলকে পরাজয়ে ডুবিয়েছিলেন সাঞ্জু, সেই ১৬.২৫ কোটি রুপি দামের ক্রিস মরিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই শেষদিকে এসে নাটকীয় জয় পায় রাজস্থান।

বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান জড়ো করে দিল্লী। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশভ পান্ট। ৯টি চারের সহায়তায় ৩২ বলে ৫১ রান করে পান্ট সাজঘরে ফিরলেই যেন খেই হারায় দল। তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি অন্য কেউই।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান (১৬ বলের মোকাবেলায়) আসে টম কারানের ব্যাট থেকে, যিনি মুস্তাফিজুর রহমানের শিকারে পরিণত হন। কারান ছাড়াও মুস্তাফিজ শিকার করেন মার্কাস স্টয়নিসকেও। ৪ ওভার বল করে ২৯ রান খরচ করা মুস্তাফিজ অবশ্য আরও উইকেটের দেখা পেতেন, যদি ভাগ্য পক্ষে থাকত। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন আরেক বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাটও, ১৫ রানের খরচায় শিকার করেন ৩টি উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সাঞ্জু স্যামসনের দল। এদিন কথা বলেনি আগের ম্যাচে নায়কোচিত ইনিংস খেলা সাঞ্জুর ব্যাট। মাত্র ৪ রানে ফেরেন সাজঘরে, রাবাদার শিকার হয়ে। যাতে এ ম্যাচেও যখন পরাজয় ঘনিয়ে আসছিল বলে মনে হচ্ছিল, তখনই ব্যাট হাতে চড়াও হন ডেভিড মিলার। আসরে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া মিলার সাজঘরে ফেরার আগে ৪৩ বলে করেন ৬২ রান; ৭টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে।

তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মরিস। ১৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন ২ বল ও ৩ উইকেট বাকি থাকতেই। কোনও চার না হাঁকালেও মরিসের ব্যাট থেকে আসে ৪টি ছক্কার মার। হয়তো আগের ম্যাচে তাকে অবহেলার প্রতিবাদই জানালেন প্রোটিয়া এই অলরাউন্ডার!

আগের ম্যাচের মত এ ম্যাচেও জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১২ রানের প্রয়োজন দেখা দেয় রাজস্থানের। টম কারানের করা প্রথম বলে ২ রান নেন ক্রিস মরিস। পরের বলেই হাঁকান ছক্কা। এক বল বিরতি দিয়ে আরও একটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজের মুঠোয় করে নেন মরিস।

প্রতিপক্ষের আভেশ খান ৩টি এবং কাগিসো রাবাদা ও ক্রিস ওকস ২টি করে উইকেট লাভ করেন। তবে ম্যাচ সেরা হন অন্যপ্রান্তে ৭ বলে ১১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা উনাদকাটই। যিনি বল হাতে মাত্র ১৫ রান দিয়ে দিল্লীর টপ অর্ডারে কাঁপন ধরিয়েছিলেন।