Dhaka ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো হয় আইন মেনে ব্যবসা করবে, নয়তো চলে যাবে: শ্রম উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু নিরীহ লোককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু স্টারলিংককে লাইসেন্স দিতে সুপারিশ, মন্ত্রণালয়ে বিটিআরসির চিঠি নরপশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল জাতীয় সনদ তৈরিতে সবার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : আলী রীয়াজ পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত : নিউইয়র্ক টাইমস মে মাসেই শুরু হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার: প্রধান উপদেষ্টা

চিলমারীতে অর্থের অভাবে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না-রায়হান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
  • ৩১৮ Time View

হাবিবুর রহমান চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না চিলমারীর অদম্য মেধাবী ছাত্র রায়হান মিয়া।

সে চিকিৎসক হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চায়। কিন্তু তার ইচ্ছা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। বাশেঁর চাটাই তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ কারী হত দরিদ্র বাবার সন্তান রায়হান মিয়া,  এইচএসসি পাস করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে মেধা তালিকায় ৩৪২৮ তম স্থান অধিকার করে, যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না। সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা পেলে রায়হান মিয়া একজন চিকিৎসক হয়ে তার বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটানোসহ চিলমারী,কুড়িগ্রাম তথা দেশের মুল্যবান সম্পদে পরিনত হত। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট মজারটারী এলাকার মোঃ নিরাশা মিয়া ও মোছাঃ রুপিয়া বেগমের একমাত্র ছেলে মোঃ রায়হান মিয়া।তার বড় দুই বোন,তাদের বিয়ে হয়েছে।বাবা নিরাশা মিয়ার বসতভিটা ছাড়া কিছুই নেই। বাঁশের চাটাই তৈরী করে কোন রকমে সংসার চালাতেন তিনি। বর্তমানে বাঁশের চাটাইয়ের কদর কমে যাওয়ায় এবং নিজের বয়স বেড়ে যাওয়ায় সে কাজও তিনি ঠিকমত করতে পারছেন না। টানাটানির সংসারে অভাব আর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়া করেছেন রায়হান মিয়া।রায়হান মিয়া জিপিএ-৫ পেয়ে ফকিরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি এবং মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। পিতার একমাত্র সম্পদ দুইটি ইউক্লিপটাস গাছ ২৫হাজার টাকায় বিক্রি করে তাই দিয়ে রংপুরস্থ ডা.নাবিল এডমিশন কেয়ার মেডিকেল কোচিং এ ভর্তি হয়। সেখান থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে রায়হান মিয়া। মেধা তালিকায় ৩৪২৮তম স্থান অধিকার করে সে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও অন্যান্য খরচসহ প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা দরকার। এছাড়াও ভর্তি হয়ে কংকাল ক্রয়সহ শিক্ষা জীবনে বাকী পথ কিভাবে পাড়ি দিবে তা তার জানা নেই। রায়হান মিয়ার মা রুপিয়া বেগম ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা কামনা করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো হয় আইন মেনে ব্যবসা করবে, নয়তো চলে যাবে: শ্রম উপদেষ্টা

চিলমারীতে অর্থের অভাবে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না-রায়হান

Update Time : ০৬:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

হাবিবুর রহমান চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না চিলমারীর অদম্য মেধাবী ছাত্র রায়হান মিয়া।

সে চিকিৎসক হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চায়। কিন্তু তার ইচ্ছা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। বাশেঁর চাটাই তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ কারী হত দরিদ্র বাবার সন্তান রায়হান মিয়া,  এইচএসসি পাস করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে মেধা তালিকায় ৩৪২৮ তম স্থান অধিকার করে, যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না। সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা পেলে রায়হান মিয়া একজন চিকিৎসক হয়ে তার বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটানোসহ চিলমারী,কুড়িগ্রাম তথা দেশের মুল্যবান সম্পদে পরিনত হত। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট মজারটারী এলাকার মোঃ নিরাশা মিয়া ও মোছাঃ রুপিয়া বেগমের একমাত্র ছেলে মোঃ রায়হান মিয়া।তার বড় দুই বোন,তাদের বিয়ে হয়েছে।বাবা নিরাশা মিয়ার বসতভিটা ছাড়া কিছুই নেই। বাঁশের চাটাই তৈরী করে কোন রকমে সংসার চালাতেন তিনি। বর্তমানে বাঁশের চাটাইয়ের কদর কমে যাওয়ায় এবং নিজের বয়স বেড়ে যাওয়ায় সে কাজও তিনি ঠিকমত করতে পারছেন না। টানাটানির সংসারে অভাব আর দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়া করেছেন রায়হান মিয়া।রায়হান মিয়া জিপিএ-৫ পেয়ে ফকিরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি এবং মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। পিতার একমাত্র সম্পদ দুইটি ইউক্লিপটাস গাছ ২৫হাজার টাকায় বিক্রি করে তাই দিয়ে রংপুরস্থ ডা.নাবিল এডমিশন কেয়ার মেডিকেল কোচিং এ ভর্তি হয়। সেখান থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে রায়হান মিয়া। মেধা তালিকায় ৩৪২৮তম স্থান অধিকার করে সে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও অন্যান্য খরচসহ প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা দরকার। এছাড়াও ভর্তি হয়ে কংকাল ক্রয়সহ শিক্ষা জীবনে বাকী পথ কিভাবে পাড়ি দিবে তা তার জানা নেই। রায়হান মিয়ার মা রুপিয়া বেগম ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা কামনা করেছেন।