Dhaka ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১শ’ জন নিহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১
  • 114

ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১শ’ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির সোমালি ও আফতার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। আগামী জুনে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে এ সহিংসতা দেখা গেল।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

আফতার অঞ্চলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আহমেদ হুমেদ বলেন, গত শুক্রবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১শ’ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। সোমালির আঞ্চলিক বাহিনীগুলো এ সহিংসতার জন্য দায়ী।

শিশু এবং মহিলারা যখন ঘুমোচ্ছিল তখন সোমালি অঞ্চলের বিশেষ বাহিনী মেশিনগান এবং রকেট চালিত গ্রেনেডসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে আহমেদ জানান।

এদিকে সোমালি অঞ্চলের এক মুখপাত্র আলি বেদেল জানান, শুক্রবারে ২৫ জন নিহত হওয়ার পর একই বাহিনীর আক্রমণে মঙ্গলবার অসংখ্য বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবী আহমেদের সরকার যখন টাইগ্রয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন তখন সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করছে।

২০১৪ সালে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা ফেডারেল সরকার পুনঃনির্ধারণ করেছিল। তখন তিনটি ছোট শহর সোমালি থেকে আফারে স্থানান্তরিত হয়েছিল, সেগুলো আবার জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সোমালি।

গত বছরের অক্টোবরেও দুই দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছিল। তখন একে অপরকে দোষ দিয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১শ’ জন নিহত

Update Time : ০৩:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১শ’ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির সোমালি ও আফতার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। আগামী জুনে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে এ সহিংসতা দেখা গেল।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

আফতার অঞ্চলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আহমেদ হুমেদ বলেন, গত শুক্রবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১শ’ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। সোমালির আঞ্চলিক বাহিনীগুলো এ সহিংসতার জন্য দায়ী।

শিশু এবং মহিলারা যখন ঘুমোচ্ছিল তখন সোমালি অঞ্চলের বিশেষ বাহিনী মেশিনগান এবং রকেট চালিত গ্রেনেডসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে আহমেদ জানান।

এদিকে সোমালি অঞ্চলের এক মুখপাত্র আলি বেদেল জানান, শুক্রবারে ২৫ জন নিহত হওয়ার পর একই বাহিনীর আক্রমণে মঙ্গলবার অসংখ্য বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবী আহমেদের সরকার যখন টাইগ্রয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন তখন সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করছে।

২০১৪ সালে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা ফেডারেল সরকার পুনঃনির্ধারণ করেছিল। তখন তিনটি ছোট শহর সোমালি থেকে আফারে স্থানান্তরিত হয়েছিল, সেগুলো আবার জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সোমালি।

গত বছরের অক্টোবরেও দুই দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছিল। তখন একে অপরকে দোষ দিয়েছিল।