নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর পাঁচটা ছুটির দিনের মতো নয় , বরং এই রোববার খানিকটা কাজ কর্মের মধ্যে দিয়ে কাটলো হাওড়া জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সমীক্ষায় অংশ নেওয়া গবেষকবৃন্দের ।
করোনাকালীন অবস্থার দরুন দীর্ঘ দিনের ব্যবধানে হলেও সংগঠনের দ্বিতীয় গ্রাম সমীক্ষা কর্মসূচীতে এবারের গ্রাম ছিল হাওড়া জেলার পাঁচলা থানার এক সমৃদ্ধ জনপদ দেউলপুর গ্রাম । সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৫অবধি এই দীর্ঘ সময় জুড়ে গ্রাম সমীক্ষার মাঝে উঠে এল গ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য পরম্পরা সম্প্রদায় লোকসংস্কৃতি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের বিভিন্ন দিকগুলি । সমীক্ষায় প্রবীণ ও নবীন গবেষকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ করার মতো । সমীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা হলেন সায়ন দে( সংগঠনের সম্পাদক), প্রদীপ রঞ্জন রীত, পবিত্র পাঁজা, রিম্পা ভট্টাচার্য,সায়ন মুখার্জী, কুন্তল পোড়ে, অধ্যাপক প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়, অনন্ত চন্দ্র, ডঃ সৌরভ দোয়ারী, শুভজিৎ মাইতি, শুদ্ধশীল ঘোষ, রাকেশ ভাঁদুরী, বলার্ক সেন, হাসিবুর রহমান,শৌভিক মণ্ডল, ডঃ শ্যামল বেরা মহাশয়, কৃষ্ণ প্রসাদ সিনহা, শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী মণ্ডল, বিশিষ্ট আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক কৌশিক দত্ত, হাওড়া গবেষক কল্যান দাস,সঞ্জয় বাগচি, বাপন খাঁড়া,গবেষক নিশীথ মান্না,ডাঃ সৌরেন্দুশেখর বিশ্বাস,অমৃতা চক্রবর্তী ভট্টাচার্য, অভিজিৎ প্রামানিক, সুভাষ মণ্ডল, গৌতম দে প্রমুখ।
বিশিষ্ট আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক কৌশিক দত্তের মতে, এই ধরনের সমীক্ষার কাজ গ্রাম বাংলায় জেলায় জেলায় আরো হওয়া উচিত এর ফলে গ্রামের ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি সমন্ধে গবেষকরা আরো সম্যক ধারণা পাবে বলে তার বিশ্বাস। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যে আঞ্চলিক ইতিহাসের একটি চরিত্রকে নিয়ে তিনি কল্যাণী থেকে এম ফিল করেছেন বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে আঞ্চলিক ইতিহাসের ওপর পি এইচ ডি গবেষণারত ফলে তার মতে আঞ্চলিক ইতিহাসের নিত্যনতুন সম্ভবনার দিকটি উল্লেখ করার মতো । সময় এসে গেছে আঞ্চলিক ইতিহাসের সেই সম্ভবনার দিকটি নিয়ে ভাবার জন্য ।
আর সেই কাজে অন্তত হাওড়া জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র একধাপ এগিয়ে রইলো । এধরনের কাজের জন্য অবশ্যই সংগঠনের সম্পাদক সায়ন দে একরাশ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার পাত্র তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না গতকালের কাজের নিরিখে।