Dhaka ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, অন্তত ১৩জন গুলিবিদ্ধ ও ৩০ জন আহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • ১১১ Time View

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বসুরহাট বাজারের পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে দফায় দফায় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’গ্রুপের অন্তত ১৩জন গুলিবিদ্ধ ও ৩০ জন আহত হয়েছে।

নিহত যুবলীগ কর্মী মো. আলাউদ্দিন (৩২) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মমিনুল হকের ছেলে।

নোয়াখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গুলিবিদ্ধ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১১ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারীদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো বসুরহাট বাজার জুড়ে উত্তেজনাময় পরিবেশ বিরাজ করে।

এছাড়াও থেমে থেমে ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের অনুসারীরা বসুরহাট বাজারের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আলাউদ্দিন নামে একজন মারা যান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ যে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কিছু দিন থেকে কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। কয়েক দিন আগে উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, অন্তত ১৩জন গুলিবিদ্ধ ও ৩০ জন আহত

Update Time : ০৩:৫৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বসুরহাট বাজারের পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে দফায় দফায় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’গ্রুপের অন্তত ১৩জন গুলিবিদ্ধ ও ৩০ জন আহত হয়েছে।

নিহত যুবলীগ কর্মী মো. আলাউদ্দিন (৩২) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মমিনুল হকের ছেলে।

নোয়াখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গুলিবিদ্ধ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১১ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারীদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো বসুরহাট বাজার জুড়ে উত্তেজনাময় পরিবেশ বিরাজ করে।

এছাড়াও থেমে থেমে ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের অনুসারীরা বসুরহাট বাজারের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আলাউদ্দিন নামে একজন মারা যান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ যে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কিছু দিন থেকে কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। কয়েক দিন আগে উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির।