পদ্মায় অব্যাহত রয়েছে পানি বৃদ্ধি। প্রতিদিনই বিপদসীমার ওপরে কয়েক সেন্টিমিটার করে বেড়েই চলেছে। গতকালও মঙ্গলবার থেকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ ষ্টেশন পয়েন্টে ৯ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট অর্থাৎ বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ এক মাসের বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে জেলার ভানবাসি দেড় লক্ষাধিক মানুষ। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উজান থেকে আসা পানি ও প্রতিদিনের ভারি বৃষ্টিতে পদ্মার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১৩টি ইউনিয়নের ৫০টিরও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। দীর্ঘ ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বন্যায় মানবেতর জীবনযাপন করছে বানভাসিরা। পানি বাড়ায় বেরি বাধের বাহিরের ও ভেতরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে, পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় নিম্নাঞ্চলে বসবারত মানুষের দুর্ভোগের মাত্র বেড়েছে কয়েকগুণে। দুই দফা বন্যার পানিতে বানভাসিদের নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। বাড়িঘর, ফসলি জমি সবই এখন বন্যার পানির নিচে। তীব্র খাদ্য সংকটের পাশাপাশি গো-খাদ্য,  বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে চরমে। এছাড়া বিষধর সাপের ভয়, শিশু খাদ্যের অভাবে বাচ্চাদের লালন পালন এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে ফসলি জমির ধান, পাট ও বিভিন্ন ধরনের সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে চরম লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। সবমিলে নিম্নাঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ এখন দুর্বিসহ কষ্ট ভোগ করছে। অনেকে বাড়িঘরে থাকতে না পেরে বেরি বাধের উঁচু স্থান ও স্কুল ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে