Dhaka ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

হ্যান্ড স্যানিটাইজারে দগ্ধ চিকিৎসক মারা গেছেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • ১৫২ Time View

রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক দম্পতির মধ্যে ডা. রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। 

গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে বাসার হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে ডা. রাজিব দম্পতি দগ্ধ হন। তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য দগ্ধ অবস্থায়  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, রাজিবের শরীরের ৮৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তবে তার অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তার স্ত্রীর শরীরেরও ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর।

ওই সময় দগ্ধ রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে জানিয়েছিলেন, রাজিব ও অনুসূয়া হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের একটি বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়া থাকতেন। রাজিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আর তার স্ত্রী শ্যামলী সেন্ট্রাল মেডিক্যাল চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার।

তাদের একমাত্র মেয়ে রাজশ্রী ভট্টাচার্য (৫) কুমিল্লার দেবীদ্বারে দাদা বাড়িতে রয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে।

রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে আরও বলেছিলেন, ওই রাতে বাসায় রাজিব একটি বড় বোতল থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছোট বোতলে ঢালছিলেন। তখন স্যানিটাইজার পড়ে গেলে মুখে সিগারেট অথবা মশার কয়েলের আগুনের সংস্পর্শে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। তা দেখে তার স্ত্রী সম্ভবত তাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদেরকে উদ্ধার করে ওই রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

হ্যান্ড স্যানিটাইজারে দগ্ধ চিকিৎসক মারা গেছেন

Update Time : ০৩:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক দম্পতির মধ্যে ডা. রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। 

গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে বাসার হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে ডা. রাজিব দম্পতি দগ্ধ হন। তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য দগ্ধ অবস্থায়  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, রাজিবের শরীরের ৮৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তবে তার অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তার স্ত্রীর শরীরেরও ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর।

ওই সময় দগ্ধ রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে জানিয়েছিলেন, রাজিব ও অনুসূয়া হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের একটি বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়া থাকতেন। রাজিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আর তার স্ত্রী শ্যামলী সেন্ট্রাল মেডিক্যাল চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার।

তাদের একমাত্র মেয়ে রাজশ্রী ভট্টাচার্য (৫) কুমিল্লার দেবীদ্বারে দাদা বাড়িতে রয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে।

রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে আরও বলেছিলেন, ওই রাতে বাসায় রাজিব একটি বড় বোতল থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছোট বোতলে ঢালছিলেন। তখন স্যানিটাইজার পড়ে গেলে মুখে সিগারেট অথবা মশার কয়েলের আগুনের সংস্পর্শে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। তা দেখে তার স্ত্রী সম্ভবত তাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদেরকে উদ্ধার করে ওই রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করেন।