সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিকেলে রাজারহাট ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: হামিদের কন্যা রেশমা আক্তার দাবি করেন, রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির সুলতান বাহাদুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আ:হামিদ ও তার ছোট ভাই আ:হাকিম এর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত সামছুল হকের পুত্র মো: একরামুল হক কাওছার গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমার বিরোধ চলে আসছিলো। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ:হামিদ ও তার ছোট ভাইয়ের নামে বিজ্ঞ আদালত রায় দেন।কিন্তু গত ১৯ ফেব্রয়ারী ২০২১ খ্রি: উক্ত জমিতে একরামুল হক কাওছার গং উক্ত জমিতে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা কালে মুক্তিযোদ্ধা আ:হামিদ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে একরামুল হক কাওছার গং ক্ষিপ্ত হয়ে আ:হামিদকে ধরে নিয়ে গিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে।খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা হামিদের ছেলে জাহিদ ও তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা আ:হামিদকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ:হামিদ সহ উপস্থিত ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজারহাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো:রজব আলী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর নেতৃবৃন্দ রাজারহাট থানায় গিয়ে রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু সরকারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আ:হামিদকে সুষ্ঠ তদন্ত না করে আটক করে না রাখার জন্য বার বার তাগাদা প্রদান করলে ওসি রাজু সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো: রজব আলীকে গ্রেপ্তার করার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ওসি মো: রাজু সরকারের সঙ্গে কথা বললে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: হামিদকে ছাড়তে বার বার আমাকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন সাবেক কমান্ডার মো: রজব আলী।এক পর্যায়ে আমি তাকে বলেছি আপনি সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করছেন বার বার, ইচ্ছে করলে আপনাকে উক্ত মামলায় আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করতে পারি এ টুকুই বলেছি মাত্র। আর বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: হামিদকে যথাযথ সম্মানের সহিত হ্যান্ডকাপ ছাড়া থানায় নিয়ে এসে রাতে ডিউটি অফিসারের কক্ষে রেখেছি। পরদিন যথা সময়ে সম্মানের সহিত আদালতে প্রেরণ করেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে