Dhaka ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৬৩ Time View

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, আগরতলা ও ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগে “শিক্ষা সমাজে হোক বহু ভাষার লালন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। 

শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে গিয়ে সমাপ্তি হয়। এরপর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা সরকারে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, রাজস্ব ও মৎস্য দপ্তর নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার ও শফিউলসহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাঙ্গালি জাতীর বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন যার ফলশ্রুতিতে বাঙ্গালির স্বাধীকার আদায়ের ধারাবাহিকতায় ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বকীয়তার ভিত্তিতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, যে জাতির ভাষা সংস্কৃতির শিকড় যত গভীর সে জাতির ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল।

এরপর ত্রিপুরার বিভিন্ন ভাষাবাষী তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোষাকে সজ্জিত হয়ে মঞ্চে এসে মাতৃভাষার তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন, বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

Update Time : ০৩:১৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আগরতলায় ও ত্রিপুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, আগরতলা ও ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগে “শিক্ষা সমাজে হোক বহু ভাষার লালন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। 

শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে গিয়ে সমাপ্তি হয়। এরপর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা সরকারে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, রাজস্ব ও মৎস্য দপ্তর নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার ও শফিউলসহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাঙ্গালি জাতীর বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন যার ফলশ্রুতিতে বাঙ্গালির স্বাধীকার আদায়ের ধারাবাহিকতায় ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বকীয়তার ভিত্তিতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, যে জাতির ভাষা সংস্কৃতির শিকড় যত গভীর সে জাতির ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল।

এরপর ত্রিপুরার বিভিন্ন ভাষাবাষী তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোষাকে সজ্জিত হয়ে মঞ্চে এসে মাতৃভাষার তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন, বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।