আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও সড়ক নিরাপত্তায় ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার জাতীয় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন বিভাগে গঠিত কমিটির পেশকৃত প্রস্তাবিত সুপারিশমালা যাচাই বাছাই করে কর্মকৌশল নির্ধারণে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী আজ বৃহষ্পতিবার সকালে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৮তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে আইনগত কাঠামো আরো যুগোপযোগী এবং যৌক্তিক করতে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের ইতিমধ্যেই মতামত নেয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনগত ভীত মজবুত করা হবে।’ প্রথমবারের মতো দেশের মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ড্রাইভিং লাইসেন্সে জন্য মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ মাসের শেষ সপ্তাহ হতে মানসম্মত লাইসেন্স প্রদানের কাজ শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তায় ২০১৭ থেকে ২০২০ মেয়াদে একটি ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছিল। সে পরিকল্পনার মেয়াদ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নতুন এ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে ২০২১ থেকে ২০২৪ মেয়াদের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা, তাই স্ট্র্যাটেজিক এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে সুপারিশ চূড়ান্ত করতেই এই কমিটি করা হয়। এ কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করে পরবর্তী সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।’
এ সময় বিআরটিএ’র কার্যালয়ে ও ভার্চুয়ালি প্লাটফরমে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য শাজাহান খান, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।