বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়া:

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ মানে জিয়া, গণতন্ত্র মানে জিয়া, জিয়া মানে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করলেন, তার খেতাব কেড়ে নেবেন? এ অধিকার সরকার বা কারোরই নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে এ খেতাব দেয়া হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য। তৎকালীন সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দিয়েছে। এই খেতাব বাতিল করার অধিকার যদি সরকারের থাকে, তাহলে নতুন করে বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম খেতাব দিন। যেহেতু এটা দেয়ার এখতিয়ার নেই, সুতরাং কেড়ে নেওয়ারও অধিকার নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল রবিবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল এর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, তৌহিদুল আলম মামুন, সহিদ উন নবী সালাম, মনিরুজ্জামান মনির, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলহাজ্ব আকরাম হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রাসেল মামুন, কাহালু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দিন, গাবতলী উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন, বিএনপির নেতা আলী হায়দার তোতা, জেলা মহিলা দলের নেত্রী নাজমা আক্তার, জেলা যুবদল নেতা আহসান হাবিব মমি, আদিল সাহারিয়া গরর্কী, ছাত্রদলনেতা বাঁধন, সন্ধান,লিসানসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে