আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুনের প্রথম দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।
করোনা মহামারীর প্রভাব খানিকটা তাল কাটলেও সংস্কৃতিমনা নানা বয়সী শ্রেণি-পেশার মানুষ মেতে উঠবে উৎসবে। বাঙালীর মনে চলছে বসন্ত আর ভালোবাসা নিয়ে উৎসব-উদ্দীপনা।
করোনাকালে অনেক সংগঠন আগের ঐতিহ্য মেনে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করলেও একাধিক সংগঠন এই মহামারীর কারণে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আয়োজন থেকে বিরত থাকছে। ভিন্ন চিত্র রয়েছে অনেক সংগঠনেও। বসন্ত বরণকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে।
জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আজ ‘বসন্ত উৎসব ১৪২৭’ এর আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এদিন সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে এবং বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বসন্তবরণ অনুষ্ঠান হবে।
প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে ‘বসন্ত বরণ’ উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও এবার করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছর এই উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আজ বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে সংগঠনটি আয়োজন করেছে ‘বসন্ত উৎসব ২০২১’।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড পারফরমিং আর্টস, স্পন্দন নৃত্যদল, নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস, নৃত্যম, নন্দন কলা কেন্দ্র এবং মারমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী স¤প্রদায়, ধৃতি নৃত্যালয় এর শিল্পীরা সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবে। দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করবেন শিল্পী সাজেদ আকবর ও সালমা আকবর, ইবরার টিপু-বিন্দু কনা এবং খাইরুল আনাম শাকিল-কল্পনা আনাম। একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন শিল্পী অপু আমান, সাব্বির, বিউটি এবং দিতি সরকার। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ভাওয়াইয়া, সরকারি সঙ্গীত কলেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীরা দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে।
এদিকে, নাটকের অংশবিশেষ পাঠ করবেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী এবং অনন্ত হীরা ও নূনা আফরোজ। সবশেষে ব্যান্ডদল ‘স্পন্দন’ এর পরিবেশনায় পরিবেশিত হবে ব্যান্ড সঙ্গীত। এছাড়া টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বসন্ত বরণ উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এদিন বাংলা পঞ্জিকার একাদশতম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন ও বসন্তের প্রথম দিন। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন পালিত হয়। ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয় সারা বিশ্বে। বাংলাদেশ জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এই দিনকে বরণ করতে জাতীয় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে।