ক্রিকেটের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দেশের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক রাজ ও শাহরিয়ার নাফীস আবীর।
মাঠের খেলায় জাতীয় দল বা কোনও ফ্রাঞ্চাইজির জার্সি গায়ে আর দেখা না গেলেও দুজনই থাকছেন ক্রিকেট বোর্ডের দুটি গুরু দায়িত্বে।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অবসরের ঘোষণা দেন এই দুই সতীর্থ।
তবে মাঠের লড়াইয়ে আর দেখা না গেলেও মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে নির্বাচক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন রাজ্জাক। আর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন নাফীস।
এর আগে বিসিবির সর্বশেষ বোর্ড সভা শেষে তাদের বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। পরে আব্দুর রাজ্জাক নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ১৩ ফেব্রুয়ারি (আজ) ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন তারা (রাজ্জাক ও নাফীস)।
ওয়ানডেতে দেশের প্রথম ২০০ উইকেট শিকারি আব্দুর রাজ্জাকের অভিষেক হয়েছিল খুলনায় হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ১৫৩টি একদিনের ম্যাচ খেলে ২০৭টি উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
আর টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। খেলেছেন ১৩টি টেস্ট। যদিও লঙ্গার ভার্সনে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি রাজ। নিয়েছেন ২৮টি উইকেট। এছাড়া ৩৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে শিকার করেছেন ৪৪টি উইকেট। তবে বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ৬০০-র বেশি উইকেট নিয়েছে রাজ। ১২৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬৩৪টি উইকেটের মালিক এই টাইগার।
অন্যদিকে দেশীয় ক্রিকেটের এক সময়ের অন্যতম সফল ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসের অভিষেক হয়েছিল ২০০৫ সালে। দেশের হয়ে ২৪ টেস্ট খেলা আবীরের রয়েছে একটি সেঞ্চুরি, ৭টি হাফসেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ২৬৭ রান। আর ৪টি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭৫টি ওয়ানডে খেলে। যেখানে তার রান ২ হাজার ২০১। এছাড়া দেশের হয়ে ১টি মাত্র টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন নাফীস, যেখানে তিনি করেছেন ২৫ রান।