কলকাতা প্রতিনিধি:
■বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক পদটি তপশিলী জাতির জন্য সংরক্ষিত। ইউজিসির রেগুলেশন অনুয়ায়ী অধ্যাপক হিসাবে আবেদন করতে হলে এপিআই স্কোর ৪০০ ও ১০বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক, সেক্ষেত্রে পিএইচডি/এমফিল গাইড করানোর অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক নয়।সেই নিয়ম অনুযায়ী আবেদন পত্র জমা পড়েছিল। কিন্তু আবেদনকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ চট্টপাধ্যায় বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রণ পান। তিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ক্রিনিং কমিটি ইউজিসি রেগুলেশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এক্তিয়ারের অজুহাতে জনৈক আবেদনকারীদের আবেদন বাতিল করেছেন। তপশিলী জাতির যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যায় না, এই মিথ্যাচারের দোহাই দিয়ে পদ বাতিল করার এই নোংরা প্রবণতা কলঙ্কজনক বলে তপশিলী জাতির মানুষ মনে করছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নিয়ম অনুযায়ী তপশিলী জাতির প্রার্থী বাছাই এর জন্য স্ক্রিনিং করার জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে তপশিলী অধ্যাপক রাখতে হয়,তা না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তপশিলী অধ্যাপক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা সত্বেও কেন একজন জেনারেল ক্যাটেগরির অধ্যাপককে ডাকলেন তাতে ভয়ংকর জালিয়াতির এক বিস্ময়কর অভিসন্ধি কাজ করেছে বলে উচ্চশিক্ষা মহল মনে করছে।এই ঘটনা সারা দেশের উচ্চশিক্ষা জগতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । কাজী নজরুল ইসলামের মত এক আন্তর্জাতিক বরেণ্য কবির নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা চূড়ান্ত নিন্দনীয় ও কলঙ্কজনক বলে আম জনতা মনে করছে।