রাস্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মেধা মননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন,‘কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।’
রাষ্ট্রপতি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের’ উদ্যোগে দেশে চতুর্থবারের মতো মঙ্গলবার ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই’। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জণসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো বেগবান করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত ১৩টি বিধি বিধান তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নিয়মিত মনিটরিং ও ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। নিয়মিত নজরদারি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস।
আবদুল হামিদ বলেন, সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসকল কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অভীষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।