Dhaka ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুচি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী বরখাস্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৮৪ Time View

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটকের পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। ফলে দেশটির ক্ষমতা এখন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে। ক্ষমতা দখলের প্রথমে দিনেই সুচির সরকারের অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুন লোক নিয়োগ করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টর্স এবং বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সুচি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।

নুতন মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে নতুন এসব নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে ছোট ছোট কিছু গোষ্ঠী আনন্দ মিছিল করেছে। সুলে প্যাগোডার কাছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় এবং বিদেশি সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সাংবাদিকদের মারধর করতে দেখা গেছে।

ইয়াঙ্গনের প্রধান সড়কে ট্রাকে করে পতাকা হাতে সেনা সমর্থকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

নেপিডোর উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র, ট্যাংক এবং হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। একই এলাকায় পার্লামেন্টে যাওয়ার প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে দেশটির সেনাবাহিনী মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচি সহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে।

মূলত গেল বছরের নভেম্বরের ৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সুচির দলের সোমবার সংসদ আহ্বান করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সুচিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই নির্বাচন নিয়ে বেসরকারি সরকার এনএলডি ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। নির্বাচনে সুচির দল ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) প্রতারণা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছিল শুরু থেকেই।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সুচি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী বরখাস্ত

Update Time : ০২:৫৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটকের পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। ফলে দেশটির ক্ষমতা এখন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে। ক্ষমতা দখলের প্রথমে দিনেই সুচির সরকারের অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুন লোক নিয়োগ করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টর্স এবং বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সুচি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।

নুতন মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে নতুন এসব নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে ছোট ছোট কিছু গোষ্ঠী আনন্দ মিছিল করেছে। সুলে প্যাগোডার কাছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় এবং বিদেশি সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সাংবাদিকদের মারধর করতে দেখা গেছে।

ইয়াঙ্গনের প্রধান সড়কে ট্রাকে করে পতাকা হাতে সেনা সমর্থকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

নেপিডোর উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র, ট্যাংক এবং হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। একই এলাকায় পার্লামেন্টে যাওয়ার প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে দেশটির সেনাবাহিনী মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচি সহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে।

মূলত গেল বছরের নভেম্বরের ৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সুচির দলের সোমবার সংসদ আহ্বান করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সুচিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই নির্বাচন নিয়ে বেসরকারি সরকার এনএলডি ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। নির্বাচনে সুচির দল ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) প্রতারণা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছিল শুরু থেকেই।

সূত্র : বিবিসি বাংলা