হরির সন্দেশ
কলমে: শাহরিন সুলতানা
হরির দোকানের সন্দেশ বাঁচিয়াছে আমারে
একথা যে কেমনে কি কই তোমারে?
গত বার্ষিকীতে পেয়েছি লাড্ডু
প্রতি বছর সেই কুখ্যাত গোল্লা,এ কেমন জাদ্দু।
স্যারের পাড়ায় আছিল মুরগির খামার
এই নিয়া এক জ্বালা আমার।
এত আন্ডা রাখিতে নাহি পায় স্থান
তাহা দেয় আমারে,আর যে নাহি রয় প্রান।
সেই আন্ডা যায়না খাওয়া, এক্কেবারে ফাঁকা
শুধু শুধু ঘরে খেতে হয় বকা,
এই যাত্রায় ঘটেনি সেই ঘটনা
মনটা ভরেছে খুশিতে কতোইনা।
হরি দেয়না শুধু সন্দেশ চানাচুর
তাহার সনে জ্ঞান ও প্রচুর,
গেছিনু কিনিতে হরির সন্দেশ
ছ পাড়া জুড়ে সুনাম তাহার বেশ।
চার আনাতেই দিল বড় বেশ
যদি কভু খাহিতে খাহিতে নাহি হতো শেষ,
কাগজে মুড়িয়া
তাহ দিল হস্তে ধরিয়া,
তাহা খুলিয়া মেলিয়া
সন্দেশ নিনু তুলিয়া।
খাইনু সন্দেশ
আছিল মিষ্টি বেশ,
হঠাৎ দেখিনু একি!
হস্তে সেই পুস্তকের পাতা দেখি।
মনোযোগ দিয়ো পড়িনু তা
ঘরে কতো পুস্তক কভুই পড়িনা,
বাংলায় গেনু পাস করিয়া
ইংরেজিতে হইলো লাড্ডু দিয়া।
অংকে হইলো কাজ চানাচুর খাইয়া
হরির হস্তে জাদু যে রহিছে ভরিয়া,
সেদিন মাও রেধেছিল কতোকিছু
সব খেয়ে গেছিনু বাপুর পিছু।
হরির দোকানে বাপু কি যে করে ফিসফিস
তাহ দেখিতেই পড়েছি, ধপাস!!ইশ!!