Dhaka ১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের হাতে রাজশাহী পর্যটন বারের কর্মচারি আটক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৪৪ Time View

সানোয়ার আরিফ রাজশাহী:

রাজশাহী পর্যটন (বার) মোটেলের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক অবৈধভাবে মাদক বিক্রিতে এখনো তৎপর রয়েছেন।

প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনরাত সর্বদা অবৈধভাবে হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এমন কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে কৌশল পরিবর্তন করেন বারের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা। ফলে তরুনদের নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন নগরীর সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী পর্যটন মোটেলের বারের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কর্মচারি রাকিব ও আরো কয়েকজন কর্মচারি মাদকসেবীদের চাহিদামতো বারের ভেতরে ও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকেন। পূর্বেও এভাবে সরবরাহ করলেও দেশে মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে জারিকৃত লকডাউনের সময় সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অতিরিক্ত মাদক সরবরাহ করেছেন তারা। এখনো চলছে সেই কার্যক্রম। নিয়মানুযায়ী রাত ১১টার সময় বার বন্ধের কথা থাকলেও সারারাত ধরে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করা হয় বার থেকেই। মাদকসেবীরা বারে এসে সহজেই পেয়ে যান অবৈধ মাদকদ্রব্য।

দেশীয় মদ বিক্রির লাইসেন্স থাকলেও প্রক্যাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি মদ। মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সের নিচের কোনো ব্যক্তি বারে মদ ক্রয় ও সেবন করতে পারবেন না। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে ২১ বছর এমনকি ১৮ বছরেরও কম বয়সী কিশোররা মাদকদ্রব্য ক্রয় করছে এবং নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারটিতে লাইসেন্স ছাড়াও অনেকে অনায়াসে মাদক ক্রয় ও সেবন করে থাকেন। অতিরিক্ত মদপান করে মাতলামি ও অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।

এদিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই টনক নড়ে প্রশাসনের । এই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মহানগরীতে ১৫ বোতল দেশীয় মদসহ রাজশাহী পর্যটন বারের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-৫) রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল। গত ২১/০১/২০২১ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার রাত্রী ৯টার সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট গেটের সামনে নয়ন পেট্টোল পাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া রাজশাহী পর্যটন বারের কর্মচারীর নাম সজল মিয়া (৩৫) । তিনি পাবনা জেলার সাথিয়া থানাধীন গোপালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রাজশাহী পর্যটন বারের এক কর্মচারী বিপুল পরিমান দেশীয় মদ গ্রাহকদের কাছে পৌছিয়ে দেয়ার উদ্যেশ্যে রিক্সা যোগে তালাইমারী হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অপারেশন দল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট গেটের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় রাজশাহী পর্যটন বারের কর্মচারীর সজলের রিক্সার গতিরোধ করে তাকে তল্লাশি করার সময় তার কাছে থাকা ব্যাগে ১৫ বোতল দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী পর্যটন মোটেলের বারের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

র‌্যাবের হাতে রাজশাহী পর্যটন বারের কর্মচারি আটক

Update Time : ১১:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১

সানোয়ার আরিফ রাজশাহী:

রাজশাহী পর্যটন (বার) মোটেলের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক অবৈধভাবে মাদক বিক্রিতে এখনো তৎপর রয়েছেন।

প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনরাত সর্বদা অবৈধভাবে হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এমন কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে কৌশল পরিবর্তন করেন বারের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা। ফলে তরুনদের নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন নগরীর সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী পর্যটন মোটেলের বারের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কর্মচারি রাকিব ও আরো কয়েকজন কর্মচারি মাদকসেবীদের চাহিদামতো বারের ভেতরে ও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকেন। পূর্বেও এভাবে সরবরাহ করলেও দেশে মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে জারিকৃত লকডাউনের সময় সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অতিরিক্ত মাদক সরবরাহ করেছেন তারা। এখনো চলছে সেই কার্যক্রম। নিয়মানুযায়ী রাত ১১টার সময় বার বন্ধের কথা থাকলেও সারারাত ধরে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করা হয় বার থেকেই। মাদকসেবীরা বারে এসে সহজেই পেয়ে যান অবৈধ মাদকদ্রব্য।

দেশীয় মদ বিক্রির লাইসেন্স থাকলেও প্রক্যাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি মদ। মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সের নিচের কোনো ব্যক্তি বারে মদ ক্রয় ও সেবন করতে পারবেন না। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে ২১ বছর এমনকি ১৮ বছরেরও কম বয়সী কিশোররা মাদকদ্রব্য ক্রয় করছে এবং নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারটিতে লাইসেন্স ছাড়াও অনেকে অনায়াসে মাদক ক্রয় ও সেবন করে থাকেন। অতিরিক্ত মদপান করে মাতলামি ও অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।

এদিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই টনক নড়ে প্রশাসনের । এই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মহানগরীতে ১৫ বোতল দেশীয় মদসহ রাজশাহী পর্যটন বারের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-৫) রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল। গত ২১/০১/২০২১ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার রাত্রী ৯টার সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট গেটের সামনে নয়ন পেট্টোল পাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া রাজশাহী পর্যটন বারের কর্মচারীর নাম সজল মিয়া (৩৫) । তিনি পাবনা জেলার সাথিয়া থানাধীন গোপালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রাজশাহী পর্যটন বারের এক কর্মচারী বিপুল পরিমান দেশীয় মদ গ্রাহকদের কাছে পৌছিয়ে দেয়ার উদ্যেশ্যে রিক্সা যোগে তালাইমারী হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অপারেশন দল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট গেটের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় রাজশাহী পর্যটন বারের কর্মচারীর সজলের রিক্সার গতিরোধ করে তাকে তল্লাশি করার সময় তার কাছে থাকা ব্যাগে ১৫ বোতল দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী পর্যটন মোটেলের বারের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন তিনি।