Dhaka ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পূর্বে যে বিধিনিষেধগুলো অবশ্যই জেনে নিবেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
  • ১২৭ Time View

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপটিকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা করে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের বিরল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে অধিদপ্তর।

বিধি-নিষেধগুলো হচ্ছে-

– দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না
– দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।

– পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পার্শ্বের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না।

– দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করা যাবে না।

– জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা যাবে না।

– সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা যাবে না।

– সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো যাবে না।

– সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা কিংবা বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না।

– ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত এবং নোঙর করা যাবে না।

– সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করা যাবে না।

– প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

–  জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না।

– দ্বীপে সুপেয় ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ সীমিত বিধায় পানির অপচয় রোধ করতে হবে।

সর্বোপরি সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে ভ্রমণকারীসহ সবাইকে।

এসব বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পূর্বে যে বিধিনিষেধগুলো অবশ্যই জেনে নিবেন

Update Time : ০৩:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপটিকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা করে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের বিরল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে অধিদপ্তর।

বিধি-নিষেধগুলো হচ্ছে-

– দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না
– দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।

– পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পার্শ্বের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না।

– দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করা যাবে না।

– জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা যাবে না।

– সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা যাবে না।

– সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো যাবে না।

– সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা কিংবা বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না।

– ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত এবং নোঙর করা যাবে না।

– সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করা যাবে না।

– প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

–  জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না।

– দ্বীপে সুপেয় ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ সীমিত বিধায় পানির অপচয় রোধ করতে হবে।

সর্বোপরি সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে ভ্রমণকারীসহ সবাইকে।

এসব বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।