দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রতিনিধি:
বুধবার ভোরে ৯৯৯ এ ফোনে দেয়ায় অপহৃত দুই যুবককে উদ্ধার করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত যুবকরা হলো নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার পাঁচপাখিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানর ছেলে আসলাম হোসেন (২৪) ও বিয়াসপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ (২৫)।
থানা ও উদ্ধারকৃত যুবকদ্বয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে , আসলাম হোসেনের বাবা ফজলুর রহমান বগুড়া জেলার কাহালু উপজলার মালঞ্চা এলাকায় মেশিনের সাহায্যে ধান মাড়াইয়ের কাজে আসে। বাবার সাথে দেখা করতে মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে আসলাম হোসেন ও তার বন্ধু মোস্তাক আহম্মেদ কে সাথে নিয়ে নাটোরের সিংড়া থেকে আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে বগুড়ার চারমাথায় আসে।
চারমাথা এলাকায় এসে কাহালুর মালঞ্চা গ্রামে পৌঁছার জন্য যানবাহন খুঁজতে থাকে। এসময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক তাদের কাছে এগিয়ে যায় এবং ঠিকানা অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়ার জন্য সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় উঠিয়ে নেয়। ওই অটোরিক্সায় যাত্রীবেশে অজ্ঞাতনামা আরো দুই থেকে তিন জন লোক আগেই গাড়ীতে ওঠে ছিল। এরপর চালক কাহালুর মালঞ্চার উদ্দেশ্যে না গিয়ে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে আসে।
রাত ৯টার দিকে ওই চালক তার অপর দুষ্কৃতিকারীদের সহযোগিতায় আসলাম ও মোস্তাক কে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং আসলামের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবা কে ফোন করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার বাবা বিষয়টি ৯৯৯ এ ফোন করে জানান। ৯৯৯ এর ফোন দ্বারা অবগত হয়ে দুপচাঁচিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আলীর নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একদল পুলিশ অপহৃত যুবকদ্বয় কে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামেন।
পুলিশের ব্যাপক অভিযান টের পেয়ে অপহরণকারীরা আসলাম হোসেন ও মোস্তাক আহম্মেদ কে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বগুড়া-নওগাঁ সড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলা ও আদমদীঘি উপজেলা সীমানার সংযোগস্থল সাহারপুকুরের বোয়ালিয়া এলাকায় ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ফেলে পালিয়ে যায়।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী জানান, উদ্ধারকৃত দুই যুবক কে বুধবার দুপুরে তার বাবা ও চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়েছ। দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের মানবিকতায় উদ্ধারকৃত দুই যুবকের বাবা, চাচা ধন্যবাদ জানান দুপচাঁচিয়া থানা প্রশাসন কে।