Dhaka ১০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে জেলেরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • 32

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল বুধবার (১১ জুন) দিনগত মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছধরা শুরু করেছেন উপকুলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর জেলেরা। গত ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে গতকাল বুধবার (১১ জুন) দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন দেশের সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলের মোট সংখ্যা ৬৫ হাজার। এ সকল জেলেরা ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত ছিলেন। এ সময়ে সরকার তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স সমুদ্রে তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে সরেজমিন ভোলার মেঘনাপাড়ের তুলাতুলি এলাকার জেলেপল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে যেতে জেলেরা সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তারা জাল, খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে জেলেরা

Update Time : ০২:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল বুধবার (১১ জুন) দিনগত মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছধরা শুরু করেছেন উপকুলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর জেলেরা। গত ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে গতকাল বুধবার (১১ জুন) দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন দেশের সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলের মোট সংখ্যা ৬৫ হাজার। এ সকল জেলেরা ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত ছিলেন। এ সময়ে সরকার তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স সমুদ্রে তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে সরেজমিন ভোলার মেঘনাপাড়ের তুলাতুলি এলাকার জেলেপল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে যেতে জেলেরা সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তারা জাল, খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।