ক্রীড়া ডেস্ক :

 ইংল্যান্ডের স্বপ্ন ভেঙ্গে, ৫৩ বছর পর রোমে গেলো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের ট্রফি। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে ইতালি টাইব্রেকে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ইউরো ফুটবলের রুপালি ট্রফিটি ঘরে তুললো।

তাতে ফুটবলের জনক হয়েও হোমে ট্রফি নিতে পারলো না ইংল্যান্ড। গোলকিপার জিয়ানলুই ডোনারোমার দুর্দান্ত নৈপুন্যে দ্বিতীয়বার চ্যম্পিয়ন হলো ইতালি।

ফুটবলের জনক বলা হয় ইংল্যান্ডকে। ৫৫ বছর পর কোন আসরের ফাইনালে ওঠা ইংল্যান্ড চেয়েছিলো ঘরে একটি ট্রফি আনতে। কিন্তু হোমে আর ট্রফি আনা হয়নি ইংল্যান্ডের। ৫৩ বছর পর ট্রফি গেলো রোমে। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে সবাইকে স্তব্ধ করে শ^াসরুদ্ধকর ফাইনালে রোমাঞ্চ মিশিয়ে ইংলিশদের স্বপ্ন ভেঙ্গে ইউরো ফুটবলের নতুন রাজা ইতালি। গ্রুপ পর্ব থেকেই অপ্রতিরোধ্য, আর দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখিয়ে ফাইনালে আসে ইংল্যান্ড ও ইতালি।

ফুটবলের জনক হলেও ইংল্যান্ড কখনোই এর আগে ইউরো ফুটবলের ফাইনালে উঠতে পারেনি। অন্যদিকে, ২০১৮ বিশ^কাপ ফুটবলে খেলতে না ইতালিয়ান ফুটবলের শেষকৃত্য দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। তাই এই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে এক নতুন ইতালিকে দেখা গেলো আবার। ধ্রুপদি ফাইনালটি শুরু থেকেই চমকে ভরপুর ছিলো। ইউরোরর ইতিহাসে কখনো ফাইনাল না খেলা ইংল্যান্ড করে ফাইনালের দ্রুততম গোল। মাত্র দুই মিনিটেই ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইকে বোকা বানিয়ে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে উল্লাসের ঢেউ তোলেন লুক শ। ইতালিয়ানদের নীল উৎসব তখন শোকে পরিণত হওয়ার অবস্থা। প্রথমার্ধে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি ইতালিয়ান ফুটবলাররা।

তবে বিরতির পর বদলে যায় ইতালি। ফিরে পায় নিজেদের হারানো ছন্দ। বাড়ে আক্রমণের ধারও। ৬৭ মিনিটে বানুচ্চির বিদ্যুৎ গতির শট ইংলিশদের জালে জড়ালে ইতালি সমতা আনে। বাকি সময় দুই দলই গোল না পেলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত তিরিশ মিনিটে। কিন্তু সেখানেও কোন দল জালের ঠিকানা পায়নি। পরতে পরেতে রোমাঞ্চ জমিয়ে থাকা ফাইনালের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকে।

পেনাল্টি শ্যুট আউটে ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুই ডোনারোমা ইংল্যান্ডের দু’টি শট ফেরান দারুণ দক্ষতায়। তাতে গ্যালারীতে উপস্থিত রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়াম, সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যামরা হতাশায় পুড়েছেন। ইংলিশদের স্বপ্ন গুড়িয়ে ১৯৬৩’র পর আবারো ইউরোপ সেরার মুকুট ইতালির হাতে। আর ১৯৬৬’র বিশ^কাপ জেতা ইংল্যান্ডের ট্রফি জয়ের অপেক্ষাটা আরো বাড়লো। ইতালিয়ান কোচ রবার্তো মানচিনি তিন বছর আগে বিশ^কাপ খেলতে না পারার কষ্টটা কিছুটা হলেও ঘোচাতে পেরেছেন রোমে এই রুপালি ট্রফিটি নিয়ে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে