৪৭ রানের মধ্যে নেই ৭ উইকেট। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের তোপে এমনই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। যেখান থেকে পঞ্চাশের ঘর ছোঁয়াও কঠিন মনে হচ্ছিল।
তবে দলকে বড় ধরনের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন স্যাম কুরান। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ওপেন করা ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান এবার সাত নম্বরে নেমে চেন্নাইকে নিয়ে গেছেন শেষ ওভার পর্যন্ত।
কুরানের লড়াকু এক হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই বিপর্যয়ে পড়া চেন্নাই সুপার কিংস ৯ উইকেটে শেষ পর্যন্ত তুলেছে ১১৪ রান। অর্থাৎ জিততে হলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে করতে হবে ১১৫।
শারজায় মুম্বাইয়ের দুই উদ্বোধনী বোলার ট্রেন্ট বোল্ট আর জাসপ্রিত বুমরাহ শুরুতেই বড় লজ্জায় ফেলেন চেন্নাইকে। তাদের তোপে মাত্র ৩ রান তুলতেই ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বোর্ডে তখনও এক রান জমা হয়নি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলেই প্রথম উইকেট হারায় চেন্নাই, রুতুরাজ গাইকজ (০) এলবিডব্লিউ হন ট্রেন্ট বোল্টের বলে।
পরের ওভারে জোড়া আঘাত বুমরাহর। টানা দুই বলে মুম্বাইয়ের এই পেসার ফেরান আম্বাতি রাইডু (২) আর নারায়ণ জগদীশকে (০)। পরের ওভারে আরও এক উইকেট হারায় চেন্নাই।
এবার বোল্টকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ ফাফ ডু প্লেসিস (১)। ৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু তিনি ১৬ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। রবীন্দ্র জাদেজাও ফেরেন ৭ রানে।
নবম ওভারে ৪৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই রীতিমত ধুঁকছিল। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়েছেন কুরান। ইনিংসের শেষ বলে বোল্টের বলে বোল্ড হওয়া এই ব্যাটসম্যান ৪৭ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস, যে ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার।
মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোল্টই। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ আর রাহুল চাহার।