Dhaka ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৮ মের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না হলে জেলে যেতে হবে : এম সাখাওয়াত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৩১ Time View

টিএনজেড লি. ও মাহমুদ গ্রুপসহ যে সব মালিকের কাছে শ্রমিকদের টাকা পাওনা আছে তা আগামী ২৮ মের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সেটি না করলে মালিককে আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, হয় পাওনা শোধ করতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে।

বুধবার (২১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে নৌ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ নৌ চলাচল, শৃঙ্খলা, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেটি না করলে যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তারা গ্রেপ্তার হবেন। যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। বেতন পরিশোধ না করলে দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না মালিকরা।

শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় ৫ জন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও অনেকের বিরুদ্ধে হবে। কোনো মালিককে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, নৌ সেক্টরে প্রচুর লোক যাতায়াত করে দক্ষিণবঙ্গে। গতবার রেল, বাস, নৌ সব পথ নিয়ে সবাই খুশি। এবারও তেমন হবে। রোজার ঈদে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এই ঈদেও তেমনই থাকছে।

উপদেষ্টা বলেন, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড থাকবে নিরাপত্তার জন্য। জুনের ৫ তারিখ থেকে প্রত্যেক লঞ্চে চারজন করে অস্ত্রধারী আনসার থাকবে। ঈদের ৩ দিন আগ থেকে পরের ৭দিন বাল্কহেড চলবে না। রাতে স্পিডবোট চলবে না।

রৌমারী থেকে চিলমারী রুটে ২টি ফেরি চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আপাতত ট্রায়াল চলছে। কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে। এটা জামালপুরকে কানেক্ট করবে। দূরত্ব প্রায় ১০০ কি.মি. পথ কমবে। ড্রেজিং করে এই নৌ রুট চালু করা হয়েছে।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বড় লঞ্চগুলোকে পাল্লা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গা থেকে লঞ্চ বের হওয়া ও প্রবেশের সময় গতি কম রাখতে হবে, যেন ঢেউ সৃষ্টি হয়ে নৌকা বিপদে না পড়ে। ওভারলোড করা যাবে না। যাত্রীদের ছাদে উঠানো যাবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

২৮ মের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না হলে জেলে যেতে হবে : এম সাখাওয়াত

Update Time : ০৮:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

টিএনজেড লি. ও মাহমুদ গ্রুপসহ যে সব মালিকের কাছে শ্রমিকদের টাকা পাওনা আছে তা আগামী ২৮ মের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সেটি না করলে মালিককে আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, হয় পাওনা শোধ করতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে।

বুধবার (২১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে নৌ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ নৌ চলাচল, শৃঙ্খলা, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেটি না করলে যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তারা গ্রেপ্তার হবেন। যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। বেতন পরিশোধ না করলে দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না মালিকরা।

শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় ৫ জন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও অনেকের বিরুদ্ধে হবে। কোনো মালিককে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, নৌ সেক্টরে প্রচুর লোক যাতায়াত করে দক্ষিণবঙ্গে। গতবার রেল, বাস, নৌ সব পথ নিয়ে সবাই খুশি। এবারও তেমন হবে। রোজার ঈদে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এই ঈদেও তেমনই থাকছে।

উপদেষ্টা বলেন, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড থাকবে নিরাপত্তার জন্য। জুনের ৫ তারিখ থেকে প্রত্যেক লঞ্চে চারজন করে অস্ত্রধারী আনসার থাকবে। ঈদের ৩ দিন আগ থেকে পরের ৭দিন বাল্কহেড চলবে না। রাতে স্পিডবোট চলবে না।

রৌমারী থেকে চিলমারী রুটে ২টি ফেরি চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আপাতত ট্রায়াল চলছে। কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে। এটা জামালপুরকে কানেক্ট করবে। দূরত্ব প্রায় ১০০ কি.মি. পথ কমবে। ড্রেজিং করে এই নৌ রুট চালু করা হয়েছে।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বড় লঞ্চগুলোকে পাল্লা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গা থেকে লঞ্চ বের হওয়া ও প্রবেশের সময় গতি কম রাখতে হবে, যেন ঢেউ সৃষ্টি হয়ে নৌকা বিপদে না পড়ে। ওভারলোড করা যাবে না। যাত্রীদের ছাদে উঠানো যাবে না।