নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ৮৩ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো দুই হাজার ৬৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা সুলতানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৬৭টি। আগে সংগৃহীত নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৭টি নমুনা। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি।
অধ্যাপক নাসিমা আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ এবং নারী ১২ জন।
এদিকে, করোনা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে আরো দুই হাজার ৬৬৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন। সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের এক কোটি ৭২ লাখ এক হাজার ২৭৭ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৫২ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬৬ হাজার ৩৮৫ জন (১ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক কোটি সাত লাখ ১৬ হাজার ২৭১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।