করোনাত্তোর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি মাঠে গড়িয়ে বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও সদর্পে চলছে দ্বিতীয় ম্যাচটি। আজ রোববার ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় পাকিস্তান। তবে অধিনায়ক মরগানের মারকুটে ফিফটিতে চ্যালেঞ্জটি ভালোভাবেই উতরে যায় ইংল্যান্ড। পাকিস্তান হারে পাঁচ উইকেটে।
এদিন বিকেলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান স্বাগতিক অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তবে দলনায়কের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারেনি ইংলিশ দলের বোলাররা। যার সুযোগটা ভালোভাবেই গ্রহণ করে দুই সফরকারী ওপেনার বাবর আজম ও ফখর জামান। দুজনের ব্যাটিং প্রতিযোগিতায় মাত্র ৮ ওভারেই ৭০ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান।
যদিও এর পরেই ঘটে ছন্দপতন। পাক শিবিরে হানা দেন ইংলিশ লেগব্রেক বোলার আদিল রশিদ। ব্যক্তিগত ৩৬ রান নিয়ে খেলা বাঁহাতি ফখর জামানকে তুলে নেন এই বোলার। পরে অবশ্য ওপর ওপেনার বাবরকেও তুলে নেন লেগস্পিনার। তার আগেই অবশ্য ফিফটি তুলে নেন পাকিস্তানের সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে দলীয় ১১২ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন বাবর আজম, ব্যক্তিগত ৫৬ রান করে। তার ৪৪ বলের এই ইনিংসটিতে ছিল সাতটি দৃষ্টিনন্দন চারের মার।
বাবর ফেরার পর শোয়েব মালিক এসে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে জুটি বাঁধলেও দলের রানের চাকাটা যেন একটু শ্লথ হয়ে যায়। ১১টি বল খেলে মাত্র ১৪ রান করেন শোয়েব। তবে সেই শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে চার-ছক্কার ঝড় তুলে মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন প্রফেসর। শেষ বলের ঠিক আগে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তার নামের পাশে যোগ হয় ৬৯ রান। হাফিজের ৩৬ বলের এই ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ের মার।
যাতে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহও বটে। পাকিস্তানের এমন সংগ্রহের পিছনে অবশ্য ইংলিশ বোলারদের অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশি। কেননা তারা আটকাতে পারেনি সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। এক আদিল রশিদ ছাড়া বাকিরা সবাই ছিলেন ব্যর্থ। তাও ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান আদিল। এছাড়া ক্রিস জর্ডান ও স্যাম কারান লাভ করেন একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডও ভালো করে শুরুটা। মাত্র ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেয়া দলটি পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারেই সংগ্রহ করে ৬৫ রান। যদিও সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শাদাব খানের ও সফরকারী দলের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন ২৪ বলে ৪৪ করা মারকুটে ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। এর আগে দুটি ছক্কার সঙ্গে চারটি চার মারেন তিনি।
তাকে ফেরানোর পর আরেক ওপেনার টম ব্যাণ্টনকেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি শাদাব খান। আদিল রশিদের মতোই প্রতিপক্ষের দুই ওপেনারকেই তুলে নেন তরুণ এই পাক স্পিনার। তবে বাকি বোলারদের ব্যর্থতায় আর ইয়ন মরগান ও ডেভিড মালানের মারকুটে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের দুইশ ছোঁয়া রানকেও মামুলিতে পরিণত করে ইংল্যান্ড।
মরগান ৬৬ রান করে হারিস রউফের এবং মঈন আলী (১) শাদাব খানের তৃতীয় শিকার হয়ে আউট হয়ে গেলেও দলকে জয় বঞ্চিত হতে দেননি মালান। ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থেকে জয় তুলে নিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন মারকুটে ডেভিড। তার ৩৫ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার। আর ম্যাচ সেরা অধিনায়কের ৩৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। যাতে শেষ ওভারে গড়ালেও পাঁচ উইকেটের অনেকটা সহজ জয়ই পায় ইংল্যান্ড।